বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে, বরিশাল হাতেম আলী কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ করে মঙ্গলবার (১১ জুলাই) রাতে বামনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অনুপম ও তার সহযোগী মিলন কর্মকারকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতার অনুপম বামনা উপজেলার বুকাবুনিয়া গ্রামে কালু কর্মকারের ছোট ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষিতা ওই ছাত্রীর বাবা একজন দিনমজুর, অনুপম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। এমনকি ধর্ষিতার বাড়িতে একটি অনুষ্ঠানে অনুপম তাকে হিন্দু বিবাহের প্রথা অনুযায়ী মিথ্যা সিঁদুর ও নাকফুল পরিয়ে দেয় এবং তাদের বিবাহ হয়ে গেছে দাবি করে তার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করে।
পরে ১ জুলাই ধর্ষিতাকে বরগুনা কোর্টে নিয়ে বিয়ে করার প্রলোভন দিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে বরগুনার উদ্দেশে রওনা হয় অনুপম। পথে ওই ছাত্রীকে একা ফেলে তিনি পালিয়ে যান। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ধর্ষিতার পরিবার তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলে নেওয়ার প্রস্তাব দিলে অনুপম অস্বীকার করে।
পরবর্তীতে কোনও উপায় না পেয়ে ধর্ষিতা ওই ছাত্রী বামনা থানায় দু’জনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহাবুদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, ধর্ষক অনুপমকে বরগুনা আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ওই ছাত্রীকে বরগুনা সিভিল সার্জন অফিসে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান ওসি সাহাবুদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৭
আরআইএস/এসও