শুক্রবার (০৭ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান।
বৃহস্পতিবার (০৬ জুলাই) বিকেলে ইভানকে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে র্যাব।
মুফতি মাহমুদ খান বলেন, মামলা দায়েরের পর পুলিশের পাশাপাশি র্যাবও ইভানকে গ্রেফতারে গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করে। পরিবারের কাছ থেকে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের তথ্য সংগ্রহ করে সেসব এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অবশেষে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নারায়ণগঞ্জের এক আত্মীয়ের বাসা থেকে ইভানকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি বলেন, ইভান প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছেন। আরো কয়েকটি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথাও স্বীকার করেন তিনি।
ইভান ক্যাম্ব্রিয়ান কলেজে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে বাবার ব্যবসা দেখাশোনা করতেন। ২০০৫ সাল থেকে বিভিন্ন মাদকে আসক্ত তিনি। দু’বার তাকে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে রাখা হয়েছিল।
বিভিন্ন অপকর্মের কারণে ২০০৮ সালে ইভানকে বিয়ে করায় পরিবার এবং তার পাঁচ বছর ও দেড় বছর বয়সী দুই সন্তান রয়েছে। তার সঙ্গে মামলার বাদিনী ওই তরুণীর অনেকদিন আগে পরিচয় হয় এবং তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক ছিল বলেও দাবি করেছেন ইভান।
মুফতি মাহমুদ বলেন, বুধবার (০৫ জুলাই) দুপুরে বনানী থানায় মামলা হলেও তরুণী অভিযোগ করেন সকালে। অভিযোগের পর পরই ইভানের বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। তখন তিনি বাসার ছাদে লুকিয়ে ছিলেন। পুলিশ চলে যাওয়ার পরই বাসা থেকে বের হয়ে দক্ষিণখানের এক আত্মীয়ের বাসায় চলে যান।
পরদিন সকালে সিলেট অথবা কুমিল্লা যাওয়ার পরিকল্পনা করলেও নারায়ণগঞ্জের খালার বাসায় যান ইভান। বিকেলে সেই বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলাটি যেহেতু বনানী থানা তদন্ত করছে, সেহেতু আসামিকে ওই থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান মুফতি মাহমুদ।
বুধবার দুপুরে বনানী থানায় বাহাউদ্দিন ইভানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা (মামলা নং-৮) দায়ের করেন ওই তরুণী।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, মঙ্গলবার (০৪ জুলাই) রাতে ইভান জন্মদিনের পার্টির কথা বলে পূর্বপরিচিত ওই তরুণীকে বনানীর নিজ বাসায় ডেকে নেন। কিন্ত ওই তরুণী সন্ধ্যার পর বাসায় গিয়ে দেখেন, কেউ নেই। এরপর তাকে আটকে ধর্ষণ করে রাত ৩টার দিকে বাসা থেকে বের করে দেন ইভান।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৭
পিএম/এএসআর