মঙ্গলবার (৪ জুলাই) দুপুরে গাইবান্ধা শিশু আদালতের বিচারক শফিকুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
এর আগে, ৩ জুন নির্যাতিতা ওই কিশোরীর চাচা বাদী হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মোস্তাফিজুর রহমান বাদল সদর উপজেলার লেংগাবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবং মৌজা মালীবাড়ী গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, লেংগাবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদল নানাভাবে নিজ স্কুলের ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতেন। বিষয়টি জানাজানি হলে তাকে পরিবারিকভাবে পার্শ্ববর্তী খোর্দ্দ মালিবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে ভর্তি করে দেওয়া হয়। এরপরেও মোস্তাফিজুর তাকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন।
২৭ মে রাতে মোস্তাফিজুর রহমান বাদল মেয়েটির বাড়িতে আসেন। এসময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে মোস্তাফিজুর ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। পরে মেয়েটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে মোস্তাফিজুর রহমান মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শরিফুল ইসলাম জানান, আত্মসমর্পণের পর বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন আদালত থেকে শিশু আদালতে নেওয়া হয়েছে। বুধবার (৫ জুলাই) মামলাটির শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২১ ঘণ্টা, ০৪ জুলাই, ২০১৭
আরএ