মুন্সীগঞ্জ: দীর্ঘ ২৩ বছর পর মুন্সীগঞ্জ কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ৬৫ বছর বয়সী শামসুল হক। কার কাছে যাবেন তিনি? তার যে আপন বলতে আর কেউ নেই।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কারামুক্ত হওয়ার পর তাই কারারীরাই তাকে রিকসায় উঠিয়ে দিলে তিনি অজানার উদ্দেশ্যে রওনা হন।
স্ত্রী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা হয়েছিল শামসুল হকের। আপন বলতে কেউ নেই বলে কারাগারে তাকে কেউ দেখতেও আসতো না।
কারারক্ষী হেমায়েত মোল্লা জানান, আমাদের সঙ্গে যতটুকু কথা হয়েছে, তার আপন বলতে কেউ নেই। মুক্তবাতাসে বের হয়ে তাই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
শামসুল হক মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মৃত বিসাই মোড়লের পুত্র।
মুন্সীগঞ্জের জেলার আব্দুল কুদ্দুস জানান, তার মুক্তির সিদ্ধান্তের খবর পেয়ে বৃহস্পতিবারই ঢাকা থেকে কাগজপত্র সংগ্রহ করা হয়। তাই তাকে মুক্তি দিতে সন্ধ্যা হয়ে যায়।
জেল সুপার সাফিউল আলম শুক্রবার বিকেলে জানান, দেশব্যাপী ৬১ কারাগার থেকে ১ হাজার জনের মুক্তির মধ্যে মুন্সীগঞ্জ কারাগার থেকে এই একজন কারাবন্দিকেই মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তার আপনজন কেউ নেই। সে কারণে মুক্তির পরও যেন তার কষ্টের মুক্তি হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১০