ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

১১ কারাগারের ২৮০ বন্দি মুক্ত

ন্যাশনাল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১০
১১ কারাগারের ২৮০ বন্দি মুক্ত

ঢাকা: সারাদেশের ১১ কারাগার থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ২৮০ জন বন্দি শুক্রবার মুক্তি পেয়েছেন। এর মধ্যে রাজশাহী থেকে ৬০ জন, রংপুর ৫৬, বরিশাল ৫২ জন, সিলেট ৫২ জন, পাবনায় ২৬ জন, চট্টগ্রাম ১২ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ৮ জন, খুলনা ৬ জন, চুয়াডাঙ্গা ৪ জন, ঝালকাঠি থেকে ৩ জন এবং নীলফামারী থেকে একজন কারাবন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

সরকারের সাধারণ মার আওতায় তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:

রাজশাহীতে ৬০ জন
রাজশাহী: রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার ফারুক আহমেদ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান,  রাজশাহী কারাগার থেকে এক সঙ্গে এত বেশি বন্দি মুক্তি পাওয়ার ঘটনা এই প্রথম। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের মধ্যে যারা ২০ বছর সাজা ভোগ করেছেন তাদেরই মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, তালিকাভুক্ত বন্দিদের মধ্যে বেশিরভাগই ২২-২৩ বছর সাজা ভোগ করেছেন। যুবক অবস্থায় সাজা শুরু হয়ে এদের কেউ কেউ এখন বৃদ্ধ। অধিকাংশই হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে সাজা ভোগ করছিলেন।

কারাবিধি মেনে চলেছেন এবং সর্বোচ্চ ২০ বছর পর্যন্ত কারাভোগ করেছেন তাদের একটি তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল। ওই তালিকাটি যাচাই বাছাই করে ৬০ জনের মুক্তির বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়। এর মধ্যে চার জন মহিলা রয়েছেন।

জেলার ফারুক আহমেদ বলেন, ‘কাগজপত্র আসতে বিলম্ব হওয়ায় এক দিন পর তাদের মুক্তি দেওয়া হলো। ’

রাজশাহী কারাগার থেকে সরকারের বিবেচনায় মুক্তি প্রাপ্তরা হলেন রাজশাহীর পবা থানার অলি মোহাম্মদ, আবুল কালাম, রইস ইদ্দিন ও খোকা, বাগমারার উপজেলার আফতাব, সদর উদ্দিন, অহির উদ্দিন ও কবেজান, চারঘাটের নুরুল ইসলাম, বাঘার তমির ও হাফিজুল ইসলাম, নগরীর বোয়ালিয়া এলাকার শাহিন, গোদাগাড়ীর সেকেন্দার আলী ও শাহাজাহান আলী, মোহনপুরের মাজেদা বেগম, নাটোর জেলার আনোয়ারুল, মন্টু মণ্ডল, ইয়াছিন আলী, সাইফুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, বেলাল হোসেন, ফজের প্রামাণিক, জামাল উদ্দিন, শাহাদত আলী, আবদুল জলিল ও গোলজার, নওগাঁর ইয়াছিন আলী, আক্কাস আলী, লয়েজ উদ্দিন, হবিবর রহমান, এন্তাজ আলী, সেকেন্দার আলী, বাবুল ওরফে সাহাবুর, রহিম উদ্দিন, পেয়ার বক্স, সেকেন্দার আলী ও ইসলাম, সিরাজগঞ্জের শাজাহান আলী, আবদুস সালাম, আবুল হোসেন মণ্ডল ও তোফাজ্জল হোসেন, পাবনার জাহেদুল হক, মিরাজ খাঁ ও মোফাজ্জল হোসেন, বগুড়ার কাওসার আলী, আবদুল মান্নান ও মোস্তফা, দিনাজপুরের আমিরুল মিয়া, তোফাজ্জল হোসেন, আকবর হোসেন ও ফজলুল হক, হাসিনা, দুলাল মণ্ডল, ইলিয়াস, মোজাম কবিরাজ ও মামুদুল, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোলাম মোস্তফা, রংপুরের নুরু কসাই ও গাইবান্ধার আবদুল মতিন।

দীর্ঘদিন কারাভোগের পর প্রিয়জনের বাড়ি ফেরার খবের বৃহস্পতিবার থেকেই রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের গেটে ভীড় জমান তাদের স্বজনরা। রাতে তারা বিভিন্ন স্থনে অবস্থান করলেও শুক্রবার ভোর থেকে কারাগারের সামনে এসে আবারো ভিড় জমান। মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিরা কারাগারের গেট পেরিয়েই আত্মীয়-স্বজনদের জড়িয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

রংপুরে ৫৬ জন
রংপুর: কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ৬ মহিলাসহ ৫৬ বন্দিকে শুক্রবার মুক্তি দেওয়া হয়েছে। জেলার রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ৫৯ জন আসামির মধ্যে ৫৬ জনের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। অন্য তিন জনের মধ্যে একজন জামিনে রয়েছেন, একজনকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যজন ভারতীয় নাগরিক কসিম উদ্দিন।

মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন ইসমাইল, রুবী বেগম, রহীম বকস, সাইফুল, আমিনুল ইসলাম, রাবেয়া বেগম, হায়দার আলী, আব্দুর রশীদ, শমসের আলী, মাসুদ. সাহেব আলী, শহদিুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম, কাশের আলী, রফিকুল ইসলাম, খলিল মিয়া, মনোয়ার হোসেন, জামাল উদ্দীন, মোখলেসার, চান্দু মিয়া, বাদশা, বুলু খান, আবদুস সাত্তার, আলমগীর হোসেন, নুরু মণ্ডল, জনাব আলী, রমেশ উরাও, দুধু মিয়া, আবুল খায়ের, অহিদুল ইসলাম, কহর মাহমুদ, রোস্তম ওয়াদুদ, ইয়াছিন, জোনাব আলী, নুরুল ইসলাম, নুর হোসেন, কুদ্দুস, জাহাঙ্গীর হোসেন, মোখলেছুর রহমান, আইন উদ্দীন, শমসের, মফিজুল ইসলাম, সিদ্দিক হোসেন, শাহআলম, কছিম উদ্দীন, লিয়াকত আলী, নুর আলম, ইসমাইল, কাশেম আলী, জয়নাল আবেদিন, মরিয়ম বেগম, মোজাম্মেল, পারভেজ, মতিয়ার, আহাদ, কাশেম আলী ও রহীম।

এছাড়া ভারতের পশ্চিম দিনাজপুরের ইসলামপুর থানার কছিম উদ্দীনকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। পুশব্যাক করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে কারাগার সূত্রে জানা গেছে।

বরিশালে ৫২ জন
বরিশাল: বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৫২ বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার মো. সগির মিয়া বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম,বিডিকে জানান, ৪৯ বন্দিকে দুপুর সাড়ে ১২টায় মুক্তি দেওয়া হয়। বন্দি মহিউদ্দিন হাওলাদার যশোর জেলে, ইব্রাহীম ঘরামী পটুয়াখালী জেলে এবং হাবিব মল্লিক ঝালকাঠী জেলা কারাগারে থাকায় তাদের সেখান থেকেই মুক্তি দিতে বলা হয়েছে।

মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন- আজিজ হাওলাদার, আজিম হাওলাদার, তরুণ সিকদার, সমীর মণ্ডল, আলমগীর হোসেন, মোক্তার আলী, মোহাম্মদ হাওলাদার, ফেরদৌস সরদার, শাহ আলম হাওলাদার, আবদুল বাসেত সিকদার, আব্দুল জলিল, সফিজল হক, হাবিব মল্লিক, আলতাফ হোসেন, শামসুল হক, চান মিয়া, জাহাঙ্গীর খা, খলিল হাওলাদার, দেলোয়ার হোসেন, জাহাঙ্গীর ও তার আপন ভাই হযরত আলী, নসু মিয়া ওরফে জসিম, কবির হাওলাদার, আব্দুল মান্নান খা, আক্তার হোসেন মোল্লা, ধলু মোল্লা, ওমর আলী, আবদুস সালাম, সামসু শেখ, নুর হোসেন, লাবলু ফকির, জাকির হোসেন, বাদশা চাকর, জায়েদ আলী ফরমান, শহীদ হাওলাদার, আবদুল আজিজ, আলতাফ খা, ইউনুস খা ও তার ভাই আলম খা, আমীর আলী খা, সোহরাব হোসেন, সেলিম তালুকদার, নেহাজ উদ্দিন, আবদুর রব সরদার, সাদেকুর রহমান, মোকলেস ঢালী, রজ্জব আলী, ইব্রাহীম ঘরামী, মহিউদ্দিন হাওলাদার এবং মমতাজ বেগম, মঞ্জু বেগম ও শুনিতি ওরুফে বকুল।

সিলেটে ৫২ জন
সিলেট: সিলেট কারাগার থেকে ৫২ জন কারাবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নেসার আলম বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় কারা অধিদপ্তর ঢাকা থেকে প্রেরিত ৫২ জন কারাবন্দির মুক্তির আদেশ আসার পর তাদের মুক্তি দেওয়ার কাজ শুরু হয়।

সিলেট কারাগার থেকে মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন  রশিদ উল্লাহ, চান মিয়া, এবাদুর রহমান, মধু মিয়া, সামছু মিয়া, ছানাবর আলী, হোসেন মিয়া, বাদশা মিয়া, আব্দুল কুদ্দুস খান, জিলু মিয়া, আকরম আলী, আব্দুল হামিদ শিকদার, অব্দুস সহিদ, সমউদ্দিন, সায়াদ আলী, আব্দুল আহাদ, ইনছান আলী, এমাদুর রহমান এমদাদ, আশফাকুল হক, রমজান আলী, মো. সেলিম, এ নমিজ, এ রফিক, সেরজুমন, সালাম মিয়া, শাফিক মিয়া, আব্দুল মুতলিব, অরিনা খাতুন, আবু তাহের, হাবিবুর রহমান, ছালেহ আহমদ, জজ মিয়া, জিতু মিয়া, ছাইদ আলী, আব্দুল আহাদ, বেলাল উদ্দিন, তেরাব আলী, তহির আলী, করিম, জহির আলী, কুতুব আলী, আব্দুল লতিফ, ডুমাই মিয়া, ইসলাম উদ্দিন, রাহি, কছির আলী, নজরুল ইসলাস, ফজলু মিয়া, ময়না মিয়া, তাবির হোসেন,চান মিয়া ও সেলিম মিয়া।

পাবনায় ২৬ জন
পাবনা: পাবনা জেলা কারাগার থেকে মোট ২৬ কারাবন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১২ টার মধ্যে কয়েক দফায় এসব বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয়। এর মধ্যে একজন মহিলা রয়েছেন।

মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দিয়ার শাহাপুর গ্রামের ইউসুফ আলী, খাইরুল ইসলাম, সাইফুল হক ও আমিরুল ইসলাম, একই উপজেলার বড়াইচড়া গ্রামের আব্দুল মোতালেব, ফরিদপুর গ্রামের আফছার আরী, পাবনার সুজানগর উপজেলার তারাবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল জলিল, চাটমোহর উপজেলার পার্শ্বডাঙ্গা গ্রামের আব্দুস সালাম, আব্দুল আলিম, আশরাফ আলী, একই উপজেলার কুমারগাড়া গ্রামের আব্দুল লতিফ, পাবনা সদর উপজেলার চর ঘোষপুর গ্রামের উম্মত মণ্ডল, একই উপজেলার মাহমুদ গ্রামের মোস্তফা, শিংগা গ্রামের আসলাম হোসেন, সুজানগর গ্রামের বাবুল মৃধা, পাবনার ফরিদপুর উপজেলার ডেমরা গ্রামের আমজাদ হোসেন, বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলার শান্দিরা গ্রামের মুকুল হোসেন, সাতীরার শ্যামনগর উপজেলার কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামের আমির হোসেন, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বহলপুর গ্রামের আবু সামা, পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা ভাঁজপাড়া গ্রামের আমজাদ হোসেন, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার রামকৃষ্ণ পুর গ্রামের আকরাম খাঁ, রহিম উদ্দিন, রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার রঘুরামপুর গ্রামের জুলমত আলী মণ্ডল, আব্দুস সবুর, সাঁথিয়া উপজেলার সরিষা সোনাতলা গ্রামের জামাত আলী, রাজশাহীর বাঘা উপজেলার দিয়ার কাদিরগঞ্জ গ্রামের আলী হোসেন এবং পাবনার সাঁথিয়া উপজেলা তেুপাড়া গ্রামের সারা খাতুন।
 
এর মধ্যে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার দিয়ার কাদিরগঞ্জ গ্রামের আলী হোসেন জেলা কারাগারে বুধবার রাতে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকেলে মারা যান তিনি।

চট্টগ্রাম ১২ জন
চট্টগ্রাম: সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১২ বন্দিকে শুক্রবার সকালে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মুক্তি অনুমোদনের চূড়ান্ত কাগজ-পত্র আসার পর তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার মোহাম্মদ আলতাব হোসেন বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘সরকার এ প্রক্রিয়া শুরু করার পর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ১৪ জন বন্দির তালিকা পাঠিয়েছিলাম। এর মধ্যে একজন বন্দি মারা গেছেন। একজনের ঠিকানা ভুল ছিল তা সংশোধন করা হচ্ছে এবং একজনকে সিলেট কারাগারে থাকায় তাকে সেখান থেকেই মুক্তি দিতে বলা হয়েছে। বাকি ১১ জনকে সকাল সাড়ে ১১টায় মুক্তি দেওয়া হয়। ’

মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন, এজাজুল হক প্রকাশ আবদুল মান্নান (৪৫), সৈয়দ আকবর (৪৭), আবু তাহের (৪৭), সদর আমিন (৪৭), বশির আহম্মদ (৪৮), নুরুল আলম (৪৮), মোয়াজ্জেম হোসেন (৪২), হারুনুর রশীদ (৫৪), রমিজ আহম্মদ (৪৮), মোহাম্মদ ইসমাইল (৪৫) ও নুরুল ইসলাম (৪৫)।

ঠাকুরগাঁওয়ে ৮ জন
ঠাকুরগাঁও: এক নারীসহ আটজন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দিকে শুক্রবার সকালে মুক্তি দিয়েছে ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগার কর্তৃপ।

যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া এক হাজার বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারে ১০ জনের মধ্যে আটজনকে মুক্তি দেওয়া হয়।

অন্য দুজন ভারতীয় নাগারিক হওয়ার তাদের মুক্তি দিতে জটিলতা রয়েছে বলে জানান ঠাকুরগাঁও জেল সুপার ইসমাইল হোসেন।

তিনি আরো জানান, মুক্তিপ্রাপ্তরা সবাই ২০ বছরের বেশি সাজা ভোগ করেছেন। হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন।

মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন  তাজি বেগম (৬৫), পজির উদ্দিন (৬০), জালাল উদ্দিন (৪৫), ইউসুফ (৬০), সাহাদ উদ্দিন (৫৫), আব্দুর রহিম (৫০) আজিজুল (৫০) ও মোতালেব (৫৫)। সবার বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলায়।

খুলনায় ৬ জন
খুলনা: খুলনা জেলা কারাগার থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬ বন্দিকে শুক্রবার দুপুরের পর মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

খুলনা জেলা কারাগারের জেলার মো. নজরুল ইসলাম বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, কারাগারে ভালো অ যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত যারা মুক্তি পেয়েছেন তারা হলেন মো. আজিম মো. সেলিম, আব্দুর রহমান গাজী, নুরুল ইসলাম এবং বুলু মোল্লা।

চুয়াডাঙ্গায় ৪ জন
চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগার থেকে এক ভারতীয়সহ ৪ বন্দিকে পৌনে ১২ টায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে। মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন চুয়াডাঙ্গা রেলপাড়ার আব্দুর রশিদ (৫৯), দামুড়হুদার ডুগডুগির আজিজুল হক (৫৫), মেহেরপুর পিরোজপুরের নাজিমুদ্দিন (৫৪), এবং ভারতের ২৪ পরগনার হাবড়া থানার ব্রজবাসির শংকর মজুমদার (৫০)। শংকরকে মুক্তি দেওয়া হলেও প্রচলিত আইনের মাধ্যমে তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

ঝালকাঠিতে ৩ জন
ঝালকাঠি: ঝালকাঠির কারাগার থেকে শুক্রবার যাবতজীবন সাজাপ্রাপ্ত তিনজন আসামি সাধারণ মায় মুক্তি পেয়েছে।

ঝালকাঠি কারাগারের জেলার মো. আমান উল্লাহ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, শুক্রাবার এ তিন জন কারাবন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন ভৈরবপাশা গ্রামের কামাল হোসেন (৪৫), জাহাঙ্গীর হোসেন (৫৫) ও দেলোয়ার হোসেন (৬০)।

নীলফামারীতে ১ জন
নীলফামারী: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আব্দুল মান্নান (৫৫) নামের এক বন্দিকে নীলফামারী কারাগার থেকে শুক্রবার সকালে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। মান্নান নারী ও শিশু নির্যাতন বিশেষ আদালতের একটি মামলায় ৩০ বছরের সাজা হয়েছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।