দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর বলছে, তালের মৌসুমে পাকা তালের বীজ সংগ্রহ করে এ বছর প্রতি উপজেলায় আড়াই হাজার করে চারাগাছ রোপণ করা হবে।
২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কারের জন্য কাজের বিনিময়ে টাকা বা কাবিটা কর্মসূচির আওতায় রাস্তা পুনঃনির্মাণ ও সংষ্কারের এক চিঠিতে দেখা গেছে, ছয় জেলায় এক হাজার ৪৪৯ মেট্রিকটন গমের মূল্যের বিপরীতে চার কোটি ২০ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৪ টাকা বরাদ্দের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরকে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
নড়াইলের লোহাগড়া, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী, সিরাজগঞ্জ সদর, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী, দিনাজপুরের হাকিমপুর ও ঘোড়াঘাট, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলায় রাস্তা পুনঃনির্মাণ ও সংষ্কারের বরাদ্দের সাথে তালগাছ রোপণের শর্ত দেওয়া হয়।
গত ১৮ জুন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. ইসমাইল হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বরাদ্দ বাস্তবায়নের অন্যান্য শর্তের সাথে বলা হয়েছে, রাস্তার দুই পাশে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শক্রমে প্রয়েজনীয় সংখ্যক তালগাছের চারা রোপণ করতে হবে।
তবে এই প্রকল্পের কাজ সমাপ্তকরণ ও অর্থ ছাড়করণের সময়সীমা ৩০ জুন পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ১৩ অক্টোবর আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসের অনুষ্ঠানে বজ্রপাত থেকে বাঁচতে বেশি করে তাল গাছ লাগানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, তালগাছ বজ্রপাতের মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুৎ টেনে নেয়। এক সময় অনেক তালগাছ থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে আর তালগাছ বেশি চোখে পড়ে না। ফলে বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা বেশি ঘটছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) বাংলানিউজকে বলেন, কাবিটা কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে তালগাছ লাগানো হবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক রিয়াজ আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, টিআর এবং কাবিটা কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষি বিভাগ এবং বন বিভাগের পরামর্শ নিয়ে প্রত্যেক উপজেলায় আড়াই হাজার করে তালাগাছ লাগানো হবে। এতে সারা দেশে ১০ লাখ চারা টিকবে।
তালের মৌসুমে পাকা তালের বীজ আগামী ভাদ্র-আশ্বিন মাসে লাগানো শুরু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ১-২ বছর পরিচর্যা করলে চারাগুলো আর মরবে না।
বজ্রপাত থেকে রক্ষায় বজ্রপাত নিরোধক আর্থিং বা লৌহদণ্ড ব্যবহার হয়ে থাকে বহুতল ভবনগুলোতে। এরফলে বজ্রপাতের বিদ্যুৎ আর্থিংয়ের মাধ্যমে মাটিতে চলে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৭
এমআইএইচ/এমজেএফ