লালমনিরহাট : উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে লালমনিরহাটের নদী তীরবর্তী গ্রাম ও নিম্নাঞ্চলে দেখা দিয়েছে বন্যা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন জেলার ৪ উপজেলার ২০ হাজার মানুষ।
বন্যাকবলিত ৪টি উপজেলা হচ্ছে হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর। আক্রান্ত উপজেলারগুলোর ২০টিরও বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার অধিকাংশ মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বেড়েছে। জেলার ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ধরলা নদীর পানি কুলাঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার মাত্র দুই সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
শুক্রবার রাত ১০টা থেকে নদীর পানি বেড়ে চলেছে বলে জানিয়েছেন লালমনিরহাট পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী এমএ মতিন সরকার।
তিনি জানান, উজান থেকে থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে তিস্তার পানি বেড়ে যায়। আবার অল্প সময়ের মধ্যেই তা আবার কমতে থাকে। এই অঞ্চলে সাধারণত আকস্মিক বন্যা হয়ে থাকে।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সারোয়ার হোসেন খান বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডি-কে জানিয়েছেন, আকস্মিক বন্যার কারণে নদী তীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চলে কিছু সবজী তে তলিয়ে গেছে।
এদিকে লালমনিরহাট মৎস্য অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, তিস্তা ও ধরলা নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় অনেক পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৪৩১ ঘণ্টা, ১৯ জুন ২০১০
প্রতিনিধি/এএইচএস/জেএম