নির্বাচনে ৫১ ভোটের মধ্যে ৪৬ ভোট পেয়ে তিনি পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সিএমডব্লিউ'র এই নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর এটাই সর্বাধিক ভোট। এই বিজয় বাংলাদেশের বলিষ্ঠ পররাষ্ট্রনীতির প্রতি বিশ্ববাসীর আস্থার প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্র সচিব চার বছর মেয়াদী এই কমিটিতে একজন স্বাধীন বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করবেন। বাংলাদেশ এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সিএমডব্লিউ’র সদস্য হলো।
ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন অব দ্য রাইটস্ অব অল মাইগ্রান্ট ওয়াকার্স এন্ড মেম্বারস্ অব দেয়ার ফ্যামিলিজ্ (আইসিআরএমডব্লিউ)-এর ৫১টি দেশ সিএমডব্লিউ’র পরবর্তী চার বছর মেয়াদের জন্য নতুন সাতজন বিশেষজ্ঞকে নির্বাচিত করল। নির্বাচিতরা জানুয়ারি ২০১৮ থেকে কাজ শুরু করবেন।
সিএমডব্লিউ’র ১৪ সদস্যের পরিষদ আইসিআরএমডব্লিউ-এর দেশগুলোর অভিবাসী কর্মীদের মানবাধিকার রক্ষা এবং সিএমডব্লিউ’র সদস্য নয় এমন দেশগুলোর সঙ্গে প্রয়োজনীয় চুক্তিস্বাক্ষরসহ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় নিয়ে কাজ করে।
বাংলাদেশ ২৪ আগস্ট ২০১১ সিএমডব্লিউ’র চুক্তি অনুস্বাক্ষর করে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে এই কমিটিতে আলবেনিয়া, শ্রীলংকা, কলম্বিয়া, আজারবাইজান, সেনেগাল ও নাইজারের প্রার্থীরাও নির্বাচিত হয়েছেন।
মাইগ্রেশনের একজন খ্যাতনামা আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত মো. শহীদুল হক, ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) এর সদর দপ্তরে পরিচালক, ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন অ্যান্ড পার্টনারশিপ হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি ২০১৬ মেয়াদে গ্লোবাল ফোরাম অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (জিএফএমডি)-এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ‘গ্লোবাল কম্প্যাক্ট’ ধারণাটি এগিয়ে নিতেও তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৯ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৭
কেজেড/এসএনএস