অনেকে বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের অনন্দ উপভোগ করতে এসেছেন হাতিরঝিলে।
কেউ ওয়াটার ট্যাক্সি অথবা ওয়াটার বোটে চড়ে, আবার কেউ ঝিলের ধারে গাছের ছায়ায় বসে রৌদ্র শীতল বাতাসে উপভোগ করছেন ঈদের আনন্দ।
সূর্যের আলো পড়ে ঝলমল করছে ঝিলের পানি। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে এলেমেলো বাতাস। এই উদোম বাতাসে দোল খাচ্ছে ঝিলের পানি। এই দৃশ্য হাতিরঝিলকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছে দর্শনার্থীদের কাছে। তবে ওয়াটার ট্যাক্সিতে শুধু বিনোদন নয়, নিজ নিজ গন্তব্যেও যাচ্ছে রাজধানীর কর্মব্যস্ত মানুষ।
পরিবার -পরিজন নিয়ে মিরপুর থেকে হাতির ঝিলে এসেছেন ডা. হামিদুর রহমান। খোলা বাতাসে বিছানার চাদর নিয়ে বসেছেন ঝিলের ধারে ঘাসের উপর। উপভোগ করছেন দর্শনার্থীর পদচারণা ও ঝিলের সৌন্দর্য। আলাপচারিতায় বাংলানিউজকে বলেন, ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া আর নিজের ব্যস্ততার জন্য গ্রামের বাড়ি যেতে পারি নাই। তাই ঢাকাতেই ঈদ করতে হলো। এখন ব্যস্ততার কারণে স্ত্রী আর ছেলে-মেয়েকে তেমন সময়ও দিতে পারি না। তাই ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে এসেছি।
বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে বেড়াতে এসেছেন তানিয়া তুষ্টি। তারা দু’জনেই একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
তানিয়া বলেন, ঈদের দিন কোথাও বের হইনি। গতকাল ইমনকে নিয়ে মিরপুর চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলাম। আজ হাতির ঝিল এসেছি। তবে এখানে এসে ভালই লাগছে।
প্রতিবন্ধী স্ত্রীকে হুইলচেয়ারে বসিয়ে নিয়ে হাতির ঝিলের দৃশ্য উপভোগ করতে দেখা যায় এক ব্যক্তিকে। এভাবে ছেলে-বুড়ো, যুবক, তরুণ-তরুণী, শিশু- সবার কাছে হাতিরঝিল যেন এক অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৭
এএম/ জেডএম