গাবতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায় বুধবার (২৮ জুন) সকাল থেকেই বিভিন্ন পরিবহনের বাস আসতে শুরু করেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।
শহরমুখী বাসের চাপে এখনও মহাসড়কে যানজট ও ফেরি পারাপারে তেমন কোনো ভোগান্তি শুরু হয়নি বলে জানিয়েছেন যাত্রী ও পরিবহন প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা।
সরকার ট্রাভেলসে পাবনা থেকে রাজধানীতে ফিরেছেন রাজীব। ফেরার পথে মির্জাপুর, কালিয়াকৈর বা চন্দ্রার কোথাও কোনো জ্যাম পাননি বলে জানিয়ে তিনি বলেন, সাধারণত যে যানজট রাস্তায় থাকে আজ তা পাইনি। ভোরের আজানের আগে পাবনা থেকে রওনা হয়েছি। এখন পৌঁছালাম। চন্দ্রায়ও জ্যামে পড়েনি।
অন্যদিকে গোল্ডেন লাইনে ফরিদপুর থেকে আসা জিয়াউল আলমকে ফেরির জন্য অপেক্ষা করতে হয়নি বলে জানান। তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে বাড়ি গিয়েছিলাম। আজ থেকে তো অফিস খোলা। ভোর সাড়ে চারটায় বাসা থেকে বের হয়েছি। গাড়ি ছাড়ল পাঁচটা নাগাদ। ঘাটে এসে ফেরির জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় কিন্তু আজ তা হয়নি। একবারেই চলে এসেছি।
তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহাসড়কে কিছুটা জ্যাম হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন পূর্বাশা বাসের গাবতলী কাউন্টারের ম্যানেজার নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমাদের কোচগুলো ভোর ছয়টা থেকেই ঢাকায় পৌঁছানো শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত কোথাও যানজটের খবর আসেনি। তবে দিন বাড়ার সাথে সাথে গাড়ির চাপ বাড়বে। তখন কিছুটা যানজট চন্দ্রা ও পাটুরিয়া ফেরীঘাটে হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৪ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৭
ইউএম/এমজেএফ