ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নদীর পাড় থেকে বিনোদন কেন্দ্রে দর্শনার্থীদের ভিড়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৬ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৭
নদীর পাড় থেকে বিনোদন কেন্দ্রে দর্শনার্থীদের ভিড় নদীর পাড় থেকে বিনোদন কেন্দ্রে দর্শনার্থীদের ভিড়

বরিশাল: ঈদের ছুটিতে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের ভ্রমণের তালিকায় এখন বরিশালের কীর্তনখোলা কিংবা সন্ধ্যা নদীর কদর এখন তুঙ্গে।

ঈদের দ্বিতীয় দিন বিকেল থেকেই ছোট নৌকা কিংবা ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে চেপে নদীতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ভ্রমণ পিপাসুরা। কীর্তনখোলা, সন্ধ্যা, আড়িয়াল খাঁ নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হচ্ছেন তারা।

একই সঙ্গে বরিশালের বিনোদন স্পট ও পর্যটন কেন্দ্রগুলোও মুখরিত হয়ে উঠেছে যুবক-যুবতী, শিশু-কিশোর-বৃদ্ধের পদচারণায়।

বরিশালে এবারেও কীর্তনখোলা নদীর তীরে প্রায় দেড় কিলোমিটার জুড়ে নতুন তৈরি বেরিবাঁধ আর ত্রিশ গোডাউন এলাকায় ভ্রমণ পিপাসুদের ভিড় একটু বেশিই দেখা গেছে।

কীর্তনখোলার তীরে মুক্তিযোদ্ধা পার্ক, কেডিসি ও ত্রিশ গোডাউন এলাকায় ইঞ্জিন চালিত ও খেয়া নৌকার ব্যবস্থা রয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য।

দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে না হতেই মানুষের ভিড় গুঠিয়ার দূর্গাসাগর, গুঠিয়া মসজিদ, বরিশাল নগরীর স্বাধীনতা পার্ক, মুক্তিযোদ্ধা পার্ক, বঙ্গবন্ধু উদ্যান, বিবির পুকুর পাড়, প্লানেট ওয়ার্ল্ড, শিশু পার্ক, ডিসি লেক, চৌমাথা লেকসহ বিভিন্ন স্থানে।

পাশাপাশি শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সেতু, কালিজিরা ব্রিজ, ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু এলাকায়ও ভ্রমণপিপাসু মানুষের বাঁধভাঙা জোয়ার দেখা যায়।

মুক্তিযোদ্ধা পার্কে বেড়াতে আসা জিসান নামে এক কলেজ ছাত্রী জানান, বন্ধুদের সাথে মিলে বরিশাল নগর চষে বেড়িয়েছেন দুদিন ধরে। আজ কীর্তনখোলা নদী তীরের মুক্তিযোদ্ধা পার্কে ঘুরতে এসেছেন। প্রচুর মানুষের ভিড় ঠেলে নৌকায় চড়ে নদীতে ঘুরে বেড়িয়েছেন অনেকটা সময়।

প্লানেট ওয়ার্ল্ডে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বেড়াতে আসা দুলাল হাওলাদার বলেন, ঈদের দিন স্বজনরা বাড়িতে এসেছে, আমরা স্বজনদের বাড়িতে গিয়েছি। আজ স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে বেড়াতে আসলাম প্লানেট ওয়ার্ল্ডে। এখানে নানান রাইডে শিশুকে চড়ালাম, পাশাপাশি ছোট আকারের কনসার্টও দেখলাম।

বিনোদন কেন্দ্র গুলোকে কেন্দ্র ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কারণে ৫ থেকে ১০ টাকার মধ্যে মসলা দিয়ে বানানো আমড়া, পেয়ারা, ঝালমুড়ি, চানাচুর, বুট, বাদাম পেয়ে খালি মুখে দাঁড়িয়ে থাকছেন না কেউ। শিশুদের জন্য বেলুন, প্লাস্টিকের খেলনা নিয়েও দাঁড়িয়ে আছেন অনেক ব্যবসায়ী।

নিরাপদে ঘুরে বেড়ানোর জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের নজরদারি জোরাদার করেছে। যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি রোধে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি রয়েছে সাধা পোশাকধারী পুলিশও।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৭
এমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।