রোববার (২৫ জুন) দুপুর ২টায় দিকে রাজধানীর স্বামীবাগ আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) মন্দির থেকে এ রথযাত্রা শুরু হয়।
এটি সেখান থেকে ইত্তেফাক মোড়, শাপলা চত্বর, দৈনিক বাংলা, পুরান পল্টন, হাইকোর্ট মাজার, দোয়েল চত্বর, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও পলাশী মোড় ঘুরে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়।
হিন্দু ধর্মমত ও রীতি অনুসারে অবতার জগন্নাথ, বলরাম ও বোন সুভদ্রা—এই ত্রিমূর্তিধারী রথ টেনে শোভাযাত্রা নিয়ে যায় হাজারো পূর্ণার্থী। সাত দিন পর ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে একই পথে সম্পন্ন হবে উল্টো রথযাত্রা। যা শেষ হবে স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরে গিয়ে।
রথযাত্রায় বিভিন্ন বয়সী নানা শ্রেণী-পেশার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ অংশ নেন। এ রথযাত্রা আষাঢ় মাসের শুক্লা পক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে পালিত হয়, যা এ মাসে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব।
ভারতীয় রাজ্য ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে এই উৎসব বিশেষ উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়। দীর্ঘ বিচ্ছেদের পর ভগবান শ্রী কৃষ্ণের বৃন্দাবন প্রত্যাবর্তনের স্মরণে এই উৎসব আয়োজিত হয়ে থাকে।
ভারতের সর্বাধিক প্রসিদ্ধ রথযাত্রা ওড়িশার পুরী শহরের জগন্নাথ মন্দিরের রথযাত্রা। পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল, শ্রীরামপুর শহরের মাহেশের রথযাত্রা, গুপ্তিপাড়ার বৃন্দাবনচন্দ্র মঠের রথযাত্রা এবং কলকাতা ও বাংলাদেশের ইসকনের রথযাত্রা ধামরাই জগন্নাথ রথযাত্র বিশেষ প্রসিদ্ধ। রথযাত্রা উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে মেলার আয়োজন করা হয়। পশ্চিমবঙ্গে রথযাত্রার সময় যাত্রাপালা মঞ্চস্থের রীতি বেশ জনপ্রিয়।
১৯৬৮ সাল থেকে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) হরে কৃষ্ণ আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে সারা বিশ্বের বিভিন্ন শহরে রথযাত্রা শুরু হয়। এই সংঘের নেতা এ সি ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ লন্ডন, মন্ট্রিঅল, প্যারিস, বার্মিংহাম, নিউ ইয়র্ক সিটি, টরোন্টো, সিঙ্গাপুর, সিডনি, পার্থ, ভেনিস প্রভৃতি শহরে রথযাত্রা উৎসবের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৭
ইইউডি/জিপি