এরপর বললেন, ‘শুক্রবার রাত ১২টার গাড়িতে যাওয়ার কথা। সেই রাত ১০টা থেকে কাউন্টারে বসে আছি।
ডিপজল এন্টারপ্রাইজের রংপুরগামী বাসের জন্য এই ‘অন্তহীন’ অপেক্ষা সিদ্দিকুর রহমানের।
বিকেলে গাবতলী বাস টার্মিনালে ডিপজল এন্টারপ্রাইজের কাউন্টারে এর চেয়েও বেশি সময় ধরে অপেক্ষমান অনেক যাত্রীকে অপেক্ষায় হা-হুতাশ করতে দেখা যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলাগামী ডিপজল এন্টারপ্রাইজের শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু করে শনিবার ভোর ৫টার শিডিউলের কোনো বাস এখন পর্যন্ত গাবতলী ছেড়ে যায়নি।
কাউন্টারের ডিপোতে গিয়ে দেখা যায়, পরিবহনটির দু’টি নষ্ট বাস ছাড়া আর কোনো গাড়ি নেই সেখানে। কিন্তু কাউন্টারে বাসের জন্য অপেক্ষমান কয়েকশ’ যাত্রী। এই শিডিউল বিপর্যয়ে সব থেকে বেশি বিপর্যস্ত রংপুর ও নওগাঁগামী যাত্রীরা। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে এই দুই রুটে এখন পর্যন্ত মাত্র ২টি গাড়ি ছেড়ে গেছে। ডিপজল এন্টারপ্রাইজের এই চরম শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলাগামী প্রায় ৩-৪শ’ যাত্রী আটকা পড়ে আছেন। একেকজন যাত্রীকে শুক্রবার রাত থেকে প্রায় ১৯-২০ ঘণ্টা কাউন্টারের মধ্যে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ভোগান্তির এই চরম মাত্রা দেখে যাত্রীরা হতাশ এবং ক্ষুব্ধ হচ্ছেন। হতাশ এবং ক্ষুব্ধ হলেও বাস না আসায় নিরুপায় হয়ে কাউন্টারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে আছেন।
নওগাঁগামী বাসের জন্য ১৩ ঘণ্টা ধরে অপেক্ষমাণ যাত্রী জহিরুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ভাই ভোগান্তির কথা আর কী বলবো। ভোর থেকে এখন পর্যন্ত ১৩ ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছি। বাস ছাড়ার কথা ছিল ভোর ৫টায় কিন্তু এখনও গাড়ি কাউন্টারে আসেনি। এমন জানলে ডিপজলের টিকিট কখনো কাটতাম না।
রংপুরগামী আরেক যাত্রী জোবায়ের বাংলানিউজকে বলেন, ডিপজল এন্টারপ্রাইজের শুক্রবার সকালের গাড়ি আজ সকালে রংপুরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। আমাদের গাড়ি ছিল বিকেলে ৪টার শিডিউলের। কিন্তু এখনও আসেনি। আর কখন যে আসবে, তা-ও বলতে পারি না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডিপজল এন্টারপ্রাইজের বগুড়া, সৈয়দপুর ও ঠাকুরগাঁও রুটেও একইভাবে শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। এই পরিবহনটির মতো অন্য কোনো পরিবহনের শিডিউলে এমন চরম বিপর্যয় হয়নি।
এই বিষয়ে পরিবহনটির কর্মকর্তারা বলছেন, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন রোডে যানজটের কারণেই এই শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। বাস রাস্তায় জ্যামে আটকে থাকায় এই শিডিউল বিপর্যয়। তবে শিডিউল বিপর্যয় কখন শেষ হবে তা বলতে পারছেন না তারা।
বাংলদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৭
এমএ/এইচএ/