বুধবার (২১ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
পর্যটন মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর পরই নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলা শুরু করেছেন, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হবে না। নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। নির্বাচন কার অধীনে হবে? সংবিধানে সহায়ক সরকারের কোনো বিধান নেই। অবশ্যই নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই হবে। যদি বিএনপি সেই নির্বাচনে না আসেন, তাহলে তারা তাদের জীবনের শেষ ভুলটি করবেন। বিএনপি যে দল, সেই দল মুসলিম লীগে পরিণত হয়ে যাবে।
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন প্রতিরোধ? আমরা আগেও শুনেছি, এখনও শুনছি। তিনি (খালেদা জিয়া) অবরোধ দিয়েছিলেন নির্বাচন প্রতিরোধ করার জন্য। সেই অবরোধ এখনও পর্যন্ত প্রত্যাহার না করলেও সে কথার ফানুস রয়ে গেছে। তাই নির্বাচন প্রতিরোধ করার বিষয় কথার ফানুস থাকবে বলে আমি মনে করি। নির্বাচনী প্রক্রিয়া ঘোষণার পর একই সঙ্গে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের তৎপরতা বেড়ে গেছে। যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প সাহেব, হিলারি ক্লিনটন নিজেরাই নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে, নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সেখানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে এসে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ করার পরামর্শ কীভাবে দেন আমরা জানি না? নৈতিক শিষ্টাচার হিসেবে আজকে তাদের উচিত হবে আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করা।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি আরও বলেন, আমরাও সবার অংশগ্রহণে স্বচ্ছ নির্বাচন চাই। কিন্তু সেটা হতে হবে আইনের অধীনে, সংবিধানের অধীনে এবং নির্বাচন কমিশন যেভাবে পরিচালনা করবে সেভাবে সেটা হতে হবে।
তিনি বলেন, রাজনীতিতে এক নতুন প্রক্রিয়া লক্ষণীয়। জামায়াত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারলেও বিএনপির ছত্র-ছায়ায় অংশ নেওয়ার চেষ্টা করছে। অন্য দিকে হেফাজতসহ দলগুলো নড়াচড়া শুরু করেছে। তারা বিভিন্ন ইস্যুতে ৫ মের পুনরাবৃত্তির কথা বলে। এই ঔদ্ধত্য অতীতেও গ্রহণ করা হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। বাংলাদেশে ধর্ম নিরপেক্ষতার নীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই। আগামী নির্বাচনেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
রাশেদ খান মেনন বলেন, অর্থমন্ত্রী ঋণ খেলাপিদের ছাড় দিচ্ছেন, তাদের কারণে ব্যাংকের ঘাটতি করের টাকা দিয়ে পূরণ করছেন। পেনশন ভোগী নিম্ন মধ্যবিত্তদের কেন টাকা বেশি দেওয়া যাবে না? ফলে তারা শেয়ার বাজারে যাবেন এবং ফটকার শিকার হবেন। অর্থমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, পাচার হওয়া অর্থ এক বছরের বাজেটের সমান। সেই টাকা ফেরত আনা যাবে না অথচ বাজেটের টাকা সংকুলানের জন্য ভ্যাট-ট্যাক্সের মহোৎসব চলবে এটা কীভাবে হয়? সেটা আমরা জানতে চাই।
আরও পড়ুন:
জাপা এমপি ফিরোজ-বাবলুকে তুলোধুনো করলেন বাণিজ্যমন্ত্রী
**ফখরুলের গাড়ির ধাক্কায় ২ জন আহত হয়: হাছান মাহমুদ
** ৪৫ বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন ১৩ হাজার মেগাওয়াট
** এমপিদের জন্য অপেক্ষায়...
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৭
এসএম/এমজেএফ