ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

৩১ লাখ পর্যটক বাংলাদেশ ভ্রমণ করেছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৫ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৭
৩১ লাখ পর্যটক বাংলাদেশ ভ্রমণ করেছে

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: বিগত ৬ বছরে ৩১ লাখ ২২ হাজার ৭৫৬ জন পর্যটক বাংলাদেশ ভ্রমণ করেছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।

সোমবার (১৯ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য শামসুল হক চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী জানান, বিদেশি সংস্থার সুপারিশের ভিত্তিতে দেশের সব বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আধুনিক ও উন্নত করা হয়েছে।

পর্যটন মন্ত্রী জানান, ২০১০ সালে ৫ লাখ ৩০ হাজার ৬৬৫ জন, ২০১১ সালে ৫ লাখ ৯৩ হাজার ৬৭৭ জন, ২০১২ সালে ৫ লাখ ৮৮ হাজার ১৯৩ জন, ২০১৩ সালে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৯৬ জন, ২০১৪ সালে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৫৩১ জন এবং ২০১৫ সালে ৬ লাখ ৪৩ হাজার ৯৪ পর্যটক বাংলাদেশে এসেছেন।

তিনি জানান, বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে বর্তমান সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। বিদেশি ট্যুর অপারেটর বা পর্যটন বিষয়ক সাংবাদিক বা লেখককে বাংলাদেশে পরিচিতিমূলক ভ্রমণে নিয়ে আসার জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশের ট্যুর অপারেটররা যাতে সম্ভাবনাময় সোর্স দেশগুলোর ট্যুর অপারেটরদের সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে সে লক্ষ্যে বিজনেস টু বিজনেস সভার আয়োজন করা হচ্ছে। এছাড়া অনলাইনে বাংলাদেশের ভ্রমণ সংক্রান্ত তথ্য যাতে পর্যটকরা সহজে পেতে পারেন সে লক্ষ্যে ওয়েবসাইট হালনাগাদ করা হচ্ছে।

একই প্রশ্নের জবাবে পর্যটনমন্ত্রী বলেন, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য ‘ভিসা অন এরাইভ্যাল’র পরিধি বাড়িয়ে আরও বেশ কয়েকটি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করতে সেমিনার আয়োজন করা হচ্ছে। বিটিভি নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র এবং টিভিসি দেশের পর্যটন বিপণনে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাফল্য অর্জন করেছে।

দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ গঠন করা হয়েছে। গত ২০১৬ সালের ২৩ থেকে ২৫ নভেম্বরে কক্সবাজার সফলভাবে ‘পাতা নিউ ফ্রনটিয়ারস ফোরাম-২০১৬’ আয়োজন করার ফলে পর্যটন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের পরিচিতি বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যটন আকর্ষণ তুলে ধরতে সম্প্রতি ‘এক্সপ্লোরার অব ট্যুরিজম’ নামে একটি ভিডিও চিত্র তৈরি ও প্রচার করা হচ্ছে বলে জানান রাশেদ খান মেনন।
 
সরকারি দলের সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদারের প্রশ্নের জবাবে বিমান মন্ত্রী সংসদে জানান, বিমানবন্দরের উন্নয়নে আধুনিক যন্ত্রপাতিসহ ডুয়েল ভিউ এক্স-রে মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংস্থা রেডলাইনের সুপারিশের ভিত্তিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে উন্নত করা হয়েছে। এছাড়া চোরাচালান রোধে বিমানবন্দর সমূহের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে বিমানবন্দরে বিভিন্ন স্থাপনায় সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে।
 
মন্ত্রী আরও জানান, বিমানবন্দরে নিরাপত্তার বিষয়টি একটি সমন্বিত কার্যক্রম যাতে সিভিল এভিয়েশন, বিমান, এপিবিএন, আনসার ইমেগ্রেশন এবং অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থা যেমন ডিজিএফআই, ইউকে রেডলাইন সিকিউরিটি, দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট এবং এনএসআই সম্মিলিতভাবে অংশগ্রহণ করে থাকে। এ বিষয়ে একটি সমন্বিত সভা প্রতিমাসে অনুষ্ঠিত হয়। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুসমূহ নিয়ে আলোচনা হয়। সে মোতাবেক প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
 
একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বিমানবহর আধুনিকায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য বিমানের পুরাতন এ-২৮ ও ডিসি ১০-৩০ উড়োজাহাজ ফেউজ আউট করা হয়েছে। ৩১০-৩০০ উড়োজাহাজ ফেউজ আউট করার লক্ষ্যে গ্রাউন্ডেট করা হয়েছে। বোয়িং কোম্পানির নিকট থেকে নতুন প্রজন্মের ৪ টি ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজ ২০১১/২০১৪ সালে ও ২ টি ৭৩৭ ৮০০ উড়োজাহাজ ২০১৫ সালে বিমানবহরে সংযোজনের মাধ্যমে বহর আধুনিকায়ন করা হয়েছে। ফলে বিমানের উড়োজাহাজের রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত ব্যয়সহ জ্বালানি খরচ কমেছে।

সি-চেক মেইন্টেনেন্স সর্ম্পকে পর্যটন মন্ত্রী জানান, বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর ও ৭৭৭-২০০ ইআর ও ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজের সি-চেক মেন্টেনেইন্স বিমানের নিজস্ব জনবল/রিসোর্স দ্বারা সম্পন্ন করা হচ্ছে। এতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা সম্ভব হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৭
এসএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ