ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

যোগাযোগ বৃদ্ধি মানেই ভারতকে ট্রানজিট নয়: গওহর রিজভী

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১১
যোগাযোগ বৃদ্ধি মানেই ভারতকে ট্রানজিট নয়: গওহর রিজভী

ঢাকা: যোগাযোগ বৃদ্ধি মানেই ভারতকে ট্রানজিট নয় বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভী।

তিনি বলেন, ‘যোগাযোগ বৃদ্ধি মানেই ভারতকে ট্রানজিট নয়।

আমরা ইয়াংগুন হয়ে চীনের কুনমিংয়ে যোগাযোগের বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের আগে শুরু করতে হবে। এ বিশ্বায়নের যুগে আমরা কানেকটিভি নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করতে পারি না। ’

শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ‘বিশ্বায়নের যুগে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহনের সিংয়ের বাংলাদেশ সফর পরবর্তী অবস্থা ও করণীয় বিষয়ে সেন্টার ফর অল্টারনেটিভস, ঢাকা এবং জামিয়া মিল্লিয়া ইসলামিয়া, নয়াদিল্লী যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

রিজভী বলেন, ‘আমাদের দ্বিপাক্ষিক সমস্যা কোনো এক দেশের পদক্ষেপের মাধ্যমে সমাধান হবে না। সন্ত্রাসবাদ, দরিদ্রতা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, অভিবাসনসহ যে কোনো আন্তঃদেশীয় সমস্যার সমাধান আন্তঃদেশীয় সহযোগিতা ও আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। ’

তিনি আরও বলেন, গত দুই বছরে দুই দেশের মধ্যে এমন ইস্যুর সমাধান হয়েছে, যেগুলো বিভিন্ন সময় অমীমাংসিত বিষয় হিসেবে বলা হয়েছে। সেই উদ্যোম নিয়ে আগামীতে এ ধরনের আরো সমস্যার সমাধান হবে বলে। বিরোধ উন্নতি ও সমৃদ্ধির উপায় হতে পারে না। ’

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস বলেন, ‘বাংলাদেশে-ভারতের সম্পর্ক চলমান প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সফর কোনো গন্তব্য নয়, বরং এটা চলমান প্রক্রিয়ার একটি অংশ। ট্রানজিট বা কানেকটিভিটিকে শুধু অবকাঠামোর দিক থেকে বিবেচনা করলে হবে না, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে যে সংস্কৃতি, মতাদর্শ, রীতিনীতি সে দিক থেকেও বিবেচনা করতে হবে।     

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রাজিত মিত্র বলেন, ‘ড. মনমোহন সিংয়ের সফরে দুই দেশ গুরুত্বপূর্ণ দুটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। এছাড়া আটটি সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়েছে। দুই দেশের সম্পর্কের ধারাবাহিকতা ও গতিশীলতার দিকে নজর দিতে হবে। ’

মনোমহনের সফরের বিভিন্ন অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ বিশ্বায়নের যুগে আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়টি সফরে গুরুত্ব পেয়েছে। ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ গত অর্থ বছরে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ’

অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত সাবেক ভারতীয় হাইকমিশনার বীণা সিক্রি বলেন, ‘কূটনীতিক ক্ষেত্রে সরকারের মনোভাব এবং জনগণের মনোভাব এক রকম হয় না। অনেক সময় সরকার যেটা করে, তাতে জনগণের মতামত ভিন্ন থাকে। সরকারি পর্যায়ের মতামত জনগণ পর্যায়ের মতামত এক নয়। ’

তিনি বলেন, ‘আমাদের শক্তিশালী, সমৃদ্ধ ও স্বাধীন জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এছাড়া এ বিশ্বায়নের যুগ আমাদের আবারো এক সঙ্গে কাজ করার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।