ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

কানাডায় বাংলাদেশীর জালিয়াতিতে সঙ্কটে অভিবাসীরা

মাহমুদ মেনন, আউটপুট এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১১
কানাডায় বাংলাদেশীর জালিয়াতিতে সঙ্কটে অভিবাসীরা

ঢাকা: কানাডায় বিশাল অংকের অর্থ জালিয়াতি করে বাংলাদেশি এক আবাসন ব্যবসায়ী দেশটি ছেড়ে যাওয়ার পর সেখানে বাংলাদেশি কমিউনিটির ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এমন আশঙ্কা করছেন অনেকে।

কানাডায় অভিবাসন বিরোধী গ্রুপগুলো এ ঘটনাকে পূঁজি করে তাদের প্রচার চালাবে বলেই মনে করছেন অনেক অভিবাসী।

এ কারণে অন্যান্য দেশের অভিবাসীরা বাংলাদেশি অভিবাসীদের বাঁকা চোখে দেখা শুরু করেছে।

কানাডার অন্টোরিওতে বাংলাদেশি অভিবাসী মনজুর মোরশেদ খান সেখানকার বেশ কয়েকটি আবাসন প্রকল্পের কন্ডো মালিকদের নামে ২ কোটি ডলারের বেশি লোন তুলে তা আত্মসাৎ করে সপ্তাহ কয়েক আগেই দেশটি ছেড়ে পালিয়েছেন।

কানাডার সাধারণ মানুষ বলছে এতবড় জালিয়াতির ঘটনা তারা এর আগে আর কখনোই দেখেননি। অনেকে ভাবতেই পারছেন না এমন একটি ঘটনা ঘটতে পারে। অভিবাসীরা মনে করছেন সার্বিকভাবে এটা তাদের ভাবমূর্তিতে আঘাত হেনেছে।
বিষয়টিতে পুলিশি তদন্ত চলছে।

টরোন্টোয় বাংলাদেশি অভিবাসী সৈকত রুশদী বাংলানিউজকে জানান, অন্টোরিওর প্রাদেশিক নির্বাচন সামনে রেখে এমন একটি ঘটনায় এখন চিন্তিত হয়ে পড়েছেন অভিবাসীরা। তারা মনে করছেন এ ঘটনার পর দেশটির প্রধান বিরোধী দল প্রগ্রেসিভ কনসারভেটিভ পার্টি (পিসি) বর্তমান ক্ষমতাসীন দল অন্টারিও লিবারেল পার্টির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করবে।

ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে অভিবাসীদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেবে এমন কোম্পানিকে ১০ হাজার ডলার করে অনুদান দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে এখন এর বিরুদ্ধে জোর ক্যাম্পেইন করবে কনজারভেটিভরা। ফলে পুরো প্রক্রিয়াটিই বাতিল হয়ে যেতে পারে এমনটাই মনে করছেন সৈকত রুশদী।

তিনি জানান, আগে থেকেই এর জোর বিরোধীতা করে আসছিলেন কনজারভেটিভ নেতা টিম হুডাক।

তিনি বলেন, আগামী ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের আগে এ বিষয়টি এখন সামনে নিয়ে এসে বাড়তি সুবিধা নেবে কনজারভেটিভরা এমনটাই মনে করছেন কানাডায় বাংলাদেশি অভিবাসীসহ অন্যরা।

কনজারভেটিভদের অভিযোগ লিবারেল সরকার অভিবাসীদের সুযোগ সুবিধা দিয়ে কানাডার নাগরিকদের চাকরির বাজার ও কাজের সুযোগ নষ্ট করছে।

এদিকে কানাডীয় সংবাদমাধ্যমগুলোও এ খবরটি ফলাও করে প্রকাশ করছে। প্রধানতম সংবাদমাধ্যম সিবিসি ছাড়াও বিভিন্ন রেডিও টেলিভিশন চ্যানেলে খবর প্রচার করা হয়েছে। সংবাদপত্রগুলোতে প্রতিদিনই আসছে ফলোআপ স্টোরি।

 

 

বাংলাদেশ সময় ১৯১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।