ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

অবসরে পাঠানো উচিৎ বিমানের তিন বোয়িং

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১১

ঢাকা: জাতীয় এয়ারলাইনস সংস্থা বিমানের ৩০ বছর পুরনো প্লেন আকাশে উড়ছে। বিমানের ডিসি-১০ মডেলের দীর্ঘপাল্লার চারটি প্লেনের তিনটিই পুরনো।

এগুলোকে অবসরে পাঠানো উচিৎ। এসব প্লেনের জন্য যে পরিমাণ জ্বালানি খরচ করা হয় তাতে বিমান লাভবান হতে পারে না।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এয়ারক্রাফট সরবরাহকারী সংস্থা বোয়িংয়ের প্রতিনিধি মিগুয়েল স্যান্টোস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এসব কথা বলেন। ঢাকার মার্কিন দূতাবাস থেকে এ সংক্রান্ত গোপন কূটনৈতিক তারবার্তা ওয়াশিংটনে পাঠানো হয়।

তারবার্তায় বলা হয়, নতুন এয়ারক্রাফট কেনার জন্য বোয়িংকে সার্বভৌম নিশ্চয়তা (সভারেইন গ্যারান্টি) দিতে সম্মত নয় বাংলাদেশ সরকার। তবে ২০০৯-এর ১২ জুলাই মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস মরিয়ার্টি ও বোয়িংয়ের কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় এয়ারলাইনসে নতুন প্লেন কেনার জন্য সার্বভৌম গ্যারান্টিই একমাত্র পথ।

এতে বলা হয়, বোয়িং দ্রুতই দুটি প্লেন সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দেয় এবং সিটিব্যাংক এই চুক্তি অর্থায়ন করতে রাজি হয়। যদিও প্রধানমন্ত্রীর অধস্তন কর্মকর্তারা জাতীয় এয়ারলাইনস বিমানকে পুনরুজ্জীবিত করতে চান। কিন্তু তারা এ জন্য প্রয়োজনীয় সেই নিশ্চয়তা দিতে পারেননি।

পরে অবশ্য মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও বোয়িংয়ের কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তাদের সরকারি নিশ্চয়তা দেওয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করা হয় বলে তারবার্তায় বলা হয়।

তারবার্তায় বলা হয়, ‘বোয়িংয়ের নতুন এয়ারক্রাফট আগের চেয়ে অনেক বড়, এতে জ্বালানি খরচ হয় কম ও নিরাপদ। স্যান্টোস বলেন, তারা বিমানের খরচ কমাতে পারবে এবং দ্রুতই খরচ লাভের মুখ দেখতে পারবে। তিনি এও বলেন, বিমানের তথ্যপ্রযুক্তির অবকাঠামো তারা আধুনিকায়িত করছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad