ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ফখরুদ্দিন-মইনের বিচার সমর্থন করেন না প্রধানমন্ত্রী: আশরাফ

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১১

ঢাকা: স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টিকে নিশ্চয়তা দিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাবেক সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদ ও প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দিন আহমেদের বিচার সমর্থন করেন না।

২০০৯ সালের ১৮ জুন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে এ মন্তব্য করেন।

ঢাকার মার্কিন থেকে এসংক্রান্ত একটি গোপন তারবার্তা একই বছর ২২ জুন ওয়াশিংটনে পাঠানো হয়।

গত ৩০ আগস্ট সাড়া জাগানো গণমাধ্যম উইকিলিকসের ফাঁস করা তারবার্তায় বলা হয়, মরিয়ার্টিকে আশরাফ বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে সন্দেহভাজন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার একটি ‘প্রতীকী’ ঘটনা হবে, তা ডাইনি ধরা অভিযানে পরিণত হবে না।

তারবার্তায় বলা হয়, ‘সৈয়দ আশরাফ স্বীকার করে বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার ইস্যুতে জাতীয় ঐক্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তিনি বলেন, পাকিস্তান এই বিচারের জোরালো বিরোধিতা করে আসছে। তবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার ইসলামাবাদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করবে, কেন এ বিচার চলা উচিৎ তা বলা হবে ওই বৈঠকে। ’

এতে বলা হয়, ‘আশরাফ নিশ্চিত করে বলেন যে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর হাতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- বন্ধ হোক, আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা তা চান না। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সম্প্রতি র‌্যাবের নিহত দুই কলেজ ছাত্রের পরিবার র‌্যাবের বিরুদ্ধে মামলা করেছে, এর ফলে হয়ত বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- বন্ধ হবে। তিনি এও নিশ্চিত করে বলেন, পার্লামেন্টে মানবাধিকার কমিশন গঠনের ব্যাপারে দ্রুতই একটি বিল পাস করা হবে। এই উদ্যোগের কেউ বিরোধিতার করবে বলেও তিনি জানান। ’

গোপন তারবার্তায় বলা হয়, ‘স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে জানতে চান, যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস (পার্লামেন্ট) বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেবে কি না। এ ব্যাপারে মরিয়ার্টি নিরাশার কথা শোনান।   তিনি বলেন, এ মুহূর্তে মার্কিন অর্থনীতির মন্দাবস্থা চলছে, এ ব্যাপারে রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত নিতে কঠিন হয়ে পড়বে। ’

তারবার্তায় মন্তব্যে অংশে বলা হয়, সম্ভবত বাংলাদেশ সরকারের উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের মধ্যে সৈয়দ আশরাফ ছাড়া আর কেউই বাস্তবসম্মত কথা বলেন না। তিনি যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও কালো টাকা সাদা করার মতো বিতর্কিত ইস্যুগুলো নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান যুক্তিসম্মতভাবে ব্যাখ্যা করেন। রাজনীতির ব্যাপারে তার যুক্তিসঙ্গত পদক্ষেপই বাংলাদেশের দরকার। এখানে অতি দলীয়করণ প্রায়ই দেশের উন্নয়নে বাধাগ্রস্ত করে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।