দিনাজপুর: দিনাজপুরের কাহারোলে এক গৃহবধূর লাশ দাফনের ৮দিন পর আদালতের নির্দেশে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন জরা হয়েছে।
শনিবার দুপুর দেড়টায় দিনাজপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের উপস্থিতিতে লাশটি উত্তোলন করা হয়।
জানা গেছে, গত ২০০৯ সালে জেলার বীরগঞ্জ পৌরশহরের ফাজিল মাদ্রাসা এলাকার মজিবর রহমানের কন্যা মমতাজ বেগম টুম্পার (২৩) সঙ্গে কাহারোল উপজেলার ডাবর ইউনিয়নের সৈয়দপুর (জয়নন্দ হাট) গ্রামের এনামুল হকের পুত্র ওয়াসেকুর রহমানের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকে স্বামীর পরিবারের লোকজন ৫ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য টুম্পাকে নির্যাতন করে আসছিল। নির্যাতনের এক পর্যায়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর টুম্পা পিতার বাসায় এসে ঘটনা জানালে ৮ সেপ্টেম্বর টুম্পার ভাই রেজওয়ানুর রহমান টাকা দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করে বোনকে স্বামীর বাড়িতে রেখে আসে।
পরের দিন ৯ সেপ্টেম্বর ওয়াসেকুর টুম্পার বাবার বাড়িতেমোবাইল ফোনে জানায় টুম্পা গুরুতর অসুস্থ্য।
খবর পেয়ে টুম্পার ভাই, পিতা ও জ্যাঠাত ভাই মোটরসাইকেল যোগে দ্রুত টুম্পার শ্বশুড়বাড়িতে গিয়ে জানতে পারেন, টুম্পা মারা গেছে এবং তার দাফনও সম্পন্ন হয়ে গেছে। পরে তারা প্রতিবেশীদের কাছে জানতে পারেন, নির্যাতনের ফলে টুম্পার মৃত্যু হয়েছে।
এ ব্যাপারে টুম্পার ভাই রেজওয়ানুর রহমান বাদী হয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর দিনাজপুর জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
আদালতের বিজ্ঞ বিচারক এমএ নূর কাহারোল থানার ওসিকে অভিযোগ এজাহার হিসেবে গণ্য করে ৬০ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত সম্পাদন পূর্বক রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সফিকুল আলম বাংলানিউজকে জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১১