ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে গওহর রিজভীর নিয়োগ

রানা রায়হান, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১১

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা গওহর রিজভীকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০০৯ সালের ২১ জুলাই তিনি তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টির কাছে গওহর রিজভী এ মন্তব্য করেন।



ঢাকার মার্কিন দূতাবাস থেকে ওয়াশিংটনে পাঠানো গোপন তারবার্তায় এ মন্তব্য করা হয়েছে। গত ৩০ আগস্ট তারবার্তাটি প্রকাশ করে হৈ চৈ ফেলে দেওয়া গণমাধ্যম উইকিলিকস।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত মরিয়ার্টির সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, তাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ পাওয়ার সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রতত্ত্ব বিষয়ে অধ্যাপনা করছিলেন।

তারবার্তায় বলা হয়েছে, ‘ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করে বাংলাদেশ যাতে আর্থিকভাবে লাভবান হয় সেজন্য জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য ১৮ মাসের সময় নির্ধারণ করা হয়। এসময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, টিপাইমুখ বাঁধ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের সামনে একটি সুযোগ এসেছে। গওহর রিজভী এরসঙ্গে একমত পোষণ করেন। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ বিরোধী দলকে বিএনপিকে সামলাতে পারলে বাংলাদেশ আর্থিকভাবে লাভবান হবে। ’ তারবার্তায় আরও বলা হয়, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার উন্নত সম্পর্কের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের জোরালো সমর্থন রয়েছে।

গোপন কূটনৈতিক তারবার্তায় বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, ভারতের সঙ্গে জোরদার সম্পর্কের ফলে বাংলাদেশ আর্থিকভাবে বেশ লাভবান হবে। তবে রিজভী বলেন, বিএনপির সমালোচনার জবাব দিতে বাংলাদেশ সরকার এখনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। নীতিমালা সংক্রান্তগুলো স্বীকৃতি দেওয়ার শেখ হাসিনার কৌশল কাজ করছে না। এ প্রসঙ্গে তিনি বিএনপির সমালোচনার প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ সরকারের নিষ্প্রভ আচরণের উল্লেখ করেন।

ওয়াশিংটনে পাঠানো তারবার্তায় মরিয়ার্টি লেখেন, ‘ভারতকে ট্রানজিট দিলে বাংলাদেশ যে আর্থিকভাবে লাভবান হবে, এ ব্যাপারে সব রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তিনি একমত। তিনি টিপাইমুখ বাঁধের ব্যাপারে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের মতের সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করেন। রাষ্ট্রদূত মনে করেন, এই বাঁধই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষ্য। এতে অবশ্য বাংলাদেশকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে হবে এই বাঁধ নির্মাণের পর শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশের নদীর প্রবাহ কমে যাবে কি না। ’

এতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ-ভারতের জোরদার সম্পর্কের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন রয়েছে, এটা জানার পর রিজভীকে উদ্বেগহীন মনে হলো। এ সম্পর্ক দক্ষিণ এশিয়ায় স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।