চবি: দীর্ঘ একমাস ঈদের ছুটি শেষে হাজার-হাজার শিক্ষার্থীর পদভারে আবারো মুখরিত হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ ক্যাম্পাস।
টানা ৩০ দিন বন্ধের পর শনিবার থেকে চবিতে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নির্দিষ্ট সময়ানুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম শহর অভিমূখী শাটল ট্রেন এবং শিক্ষক বাস চলাচল করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলওয়ে স্টেশন চত্বর, কাটা পাহাড়, জারুলতলা, সুনামি গার্ডেন, গোল চত্বর, শহীদ মিনার চত্বর, ঝুঁপড়িসহ উল্লেখযোগ্য স্থানগুলো জমে উঠেছে আগের মতোই।
জারুলতলায় বসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় মেতেছিলেন বাঙলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ইফতেখার ফয়সাল।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ‘একমাস পর বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়েছে। কী যে ভালো লাগছে তা বলে বুঝাতে পারব না। ’
তার কথায় যোগ দিলেন প্রতিভা শাহনেওয়াজ, রাবেয়া জামান, রানা আব্বাস ও শরিফুজ্জামান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হলের আবাসিক ছাত্রী লাভলী আক্তার বিথী বাংলানিউজকে বলেন, ‘অনেক দিন পর ক্যাম্পাসে এসেছি। বৃষ্টিতে ভেজা সবুজ পাহাড়ের চিরচেনা ক্যাম্পাসকে মনে হচ্ছে যেন অচেনা। যেন নতুন রূপে সেজেছে।
এদিকে ঈদের পরই ফাইনাল পরীক্ষার জন্য বাড়ি যেতে পারেননি লোক প্রশাসন বিভাগের ছাত্র রাজিব। অনেকটা মন খারাপ করেই তিনি বললেন, ‘পুরো বিশ্ববিদ্যালয় যেন পরিণত হয়েছিল নিঝুমপুরীতে। একা একা খুব খারাপ লেগেছে। তবু কি করা, পরীক্ষার জন্যে পঞ্চগড় জেলায় গ্রামের বাড়ি যাওয়া হয়নি। ’
আমানত হলের ছাত্র গৌতম বাংলানিউজকে বলেন, ‘ছুটির সময় ডাইনিং, ক্যান্টিনসহ সব দোকানপাট বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের খুব কষ্ট করতে হয়েছে। ’
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি আবাসিক হল ও আশপাশের বেসরকারি কটেজগুলো মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে থেকে পড়াশোনা করেন।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার প্রথম দিনে যেকোন ধরনের নাশকতা এড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোহাম্মদ আকতার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, যে কোন ধরনের অরাজক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয় ও স্থানীয় প্রশাসন তৎপর রয়েছে।
বিশবিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মো. আনোয়ারুল আজিম আরিফ শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, দীর্ঘ একমাস রমজান, ঈদের ছুটির পর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এসে নতুন উদ্যোমে পড়াশুনা শুরু করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১১