ঢাকা: দখল হয়ে যাওয়া সরকারি সম্পত্তি পুনরুদ্ধারে বিচার বিভাগীয় কমিশনের একমাত্র সদস্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি হাবিবুর রহমান খান বলেছেন, সরকার তাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে তা তার একার পক্ষে পালন করা সম্ভব নয়।
বিভিন্ন সময় দখল হয়ে যাওয়া সরকারের পরিত্যক্ত বাড়ি পুনরুদ্ধার ও ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির প্রকৃত মালিকদের চিহ্নিত করে সরকারের কাছে সুপারিশ পেশ করাই হবে এ কমিশনের কাজ।
তবে কাজের পরিধি ও পরিমাণের কথা বিবেচনা করে ট্রুথ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি হাবিবুর রহমান খান মনে করছেন এ কাজে আরও জনবল প্রয়োজন।
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে তিনি বলেন, ‘সরকারের উচিত কমিশনকে ঢেলে সাজাতে একটি শক্তিশালী টিম গঠনের উদ্যোগ নেওয়া। আমার একার পক্ষে এ কাজ করা সম্ভব নয়। ’
প্রতিবেশী ভারতের উদাহরণ টেনে হাবিবুর রহমান খান বলেন, ‘ভারতে এ ধরনের আটটি কমিশন রয়েছে। ’
বাংলাদেশেও প্রতিটি বিভাগীয় শহরে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিশন গঠন করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। সেইসঙ্গে একটি স্থায়ী সেল রাখার কথাও বলেন।
তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় পর্যায়ে মূল যে কমিশন থাকবে তারা শুধু বিভাগীয় কমিশনের কার্যক্রম তদারকি করবে এবং রায় দেবে। ’
১৯৭১ সাল থেকে এ পর্যন্ত যেসব জমির মালিকানা বিষয়ে কোর্ট অব সেটেলমেন্ট রায় দিয়েছে কমিশন প্রাথমিকভাবে তা তদন্ত করবে। রায়ে কোনো ত্রুটি আছে কি-না তাও খতিয়ে দেখা হবে।
গত ১০ মার্চ হাবিবুর রহমান খানকে নিয়ে এক সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করে সরকার। পরে ১ এপ্রিল এ নিয়োগ গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১০