প্লাবিত গ্রামগুলো হলো- ঘাটাখালী, হরিণখোলা, গোবরা, গোবরাপূর্বচক, দক্ষিণ মদিনাবাদ, ওড়াতলা, ১ নম্বর কয়রা, ২ নম্বর কয়রা, উত্তর মদিনাবাদ, ৩ নম্বর কয়রা মাহাতো পাড়া।
সোমবার (২৯ মে) সকাল থেকে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে কয়েক হাজার এলাকাবাসী বাঁধ মেরামত করে চলে আসার আধাঘণ্টার মধ্যে ফের ভেঙে যায়।
জানা যায়, শনিবার (২৭ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৩-১৪/২ নম্বর পোল্ডারের ঘাটাখালী গ্রামের আফতাব শেখের বাড়িসংলগ্ন পাউবো বেড়ীবাঁধের প্রায় ১০০ ফুটের মতো জায়গা ভেঙে নদীর জোয়ারের প্রবল স্রোতে মুহূর্তেই ভাসিয়ে দেয় ঘাটাখালী, গোবরা ও গোবরা পূর্বচক গ্রাম। তাৎক্ষণিক স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় এলাকাবাসী বাঁধ সংস্কারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়।
রোববার (২৮ মে) সকালে এলাকাবাসী পুনরায় বাঁধ মেরামতের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হলে দুপুরের জোয়ারে আবারও নতুন করে ৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়।
খবর পেয়ে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশন কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম ভাঙনকবলিত এলাকায় আসেন।
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ১০ গ্রাম নয়, দুই গ্রামের তিন-চারশ পরিবার পানিবন্দি। বাঁধ সংস্কারসহ সাধারণ মানুষের সহযোগিতার জন্য কয়রা থানা পুলিশের সদস্যরা সার্বক্ষণিক কাজ করছে।
কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম জানান, ভেঙে যাওয়া বাঁধের ওই অংশ আগে থেকেই দুর্বল ছিল। যে কারণে নদীতে জোয়ারের পানির চাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা ভেঙে গেছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় প্রস্তুত ২৫০ সাইক্লোন সেন্টার, চলছে মাইকিং
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৭
এমআরএম/এএ