ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বাজেটে অভিবাসী কর্মীদের ২ শতাংশ বরাদ্দের দাবি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৩ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৭
বাজেটে অভিবাসী কর্মীদের ২ শতাংশ বরাদ্দের দাবি সংলাপ আয়োজনে বক্তারা-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: অভিবাসী কর্মীদের জন্য আসন্ন মূল বাজেটের ২ শতাংশ বরাদ্দের দাবি জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অভিবাসী কর্মীদের সরাসরি অংশগ্রহণমূলক সংলাপ ‘অভিবাসী বাজেট’-এ বক্ত‍ারা এ দাবি জানান।

অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রাম (ওকাপ) সংলাপের আয়োজন করে।

সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য নূরজাহান বেগম মুক্তা বলেন, সরকার যা দিচ্ছে শ্রমিকরা তা মনে রাখেন না। একদিনে সব অর্জন করা যায় না, তা ধাপে ধাপে করতে হয়।

তিনি শ্রমিকদের জন্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন। শ্রমিকদের সচেতনতা বৃদ্ধির পরামর্শ দেন। অভিবাসীদের জন্য এবারের বাজেট আরও বৃদ্ধি করতে প্রস্তাব রাখবেন বলে শ্রমিকদের আশ্বস্থ করেন তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানের অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ বলেন, শ্রমিকদের কোনো দাবির বিষয়ে দ্বিমত করার জায়গা নেই। শ্রমিকরা কাজ করে আয় করে। কিন্তু অভিবাসীদের জন্য সরকার কাজ করেনি তা বলার অবকাশ নেই।

রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর সি আর আবরার বলেন, বাজেটে মাত্র দশমিক ১৭ ভাগ রয়েছে যা সবাইকে মর্মাহত করেছে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পর মাত্র ১৫৬ জনকে ঋণ দিয়েছে যা খুবই অপ্রতুল। অভিবাসী কর্মীদের জন্য মূল বাজেটের ২ শতাংশ রাখার দাবি জানান তিনি।  

ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব দ্য রাইটস অব বাংলাদেশি মাইগ্র্যান্টসের (ওয়ারবি) চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুল হক বলেন, শ্রমিকদের বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে সরকারের কোনো বিনিয়োগ নেই। তিনি শ্রমিকদের জন্য রাজধানীতে সেন্টার গড়া, এ খাতে ৫ শতাংশ প্রণোদনার দাবি জানান।

ওকাপের চেয়ারম্যান শাকিরুল ইসলাম বলেন, গত পাঁচ বছরে অভিবাসীরা প্রায় ৭২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন যা জিডিপির প্রায় ১১ শতাংশ। কিন্তু জাতীয় বাজেটে অভিবাসী কর্মীদের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। যা রাখা হয়েছে তা সরকারি কর্তাদের বেতন, ভাতা ও আবাসন সুবিধা দিতে। তিনি অভিবাসী কর্মীদের জন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানান।

ব্র্যাক'র মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান হাসান ইমাম বলেন, শ্রমিকদের দাবি মানতে হবে। অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে হবে।

ফিরে আসা শ্রমিকদের বিনা শর্তে ঋণের দাবি জানান অভিবাসী কর্মী মো. শাহজালাল।

সুপ্রীয়া চক্রবর্তী বলেন, অনেকেই ২৫ বছর চাকরি করে ফিরে আসেন খালি হাতে। অভিবাসী কর্মীদের সরকারি কোটায় চাকরি সংরক্ষণ ও পেনশনের দাবি করেন তিনি।

মশিউর আলম বলেন, ২২ বছর সৌদি আরব ছিলাম। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক আছে। কিন্তু এ থেকে কোনো সুবিধা পাচ্ছি না। প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য স্মার্ট কার্ডের দাবি জানান তিনি।

দূতাবাসের সহযোগিতা, পাসপোর্ট পেতে পুলিশের হয়রানি বন্ধ, অল্প খরচে বিদেশ যাওয়া, সচেতনতামূলক প্রচারণা, অসুস্থ কর্মীদের ভাতা রেখে প্রবাসী কল্যাণ আইন বাস্তবায়নের দাবি জানান উপস্থিত কর্মীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৬
কেজেড/আরআর/বিএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।