ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বঙ্গোপসাগরে দু’দল জলদস্যুর বন্দুকযুদ্ধে নিহত ১, গুলিবিদ্ধ ৮

জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১০

পটুয়াখালী: কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’দল জলদস্যুর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে আলমগীর হোসেন নামে এক মাঝি নিহত ও ৮ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

ট্রলার ডাকাতির সময় এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।



ডাকাতরা এ সময় ৫ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

এফবি মা জননী ট্রলারের ফিরে আসা জেলেরা জানান,  বৃহস্পতিবার সকালে গভীর সমুদ্রে জুলফিকার গ্র“প এবং রাজু ও আব্বাস বাহিনীর মিলিত একটি গ্র“প গণডাকাতি শুরু করে। ট্রলার ডাকাতি নিয়ে উভয় গ্র“পের মধ্যে বাক বিতণ্ডার একপর্যায়ে শুরু হয় বন্দুকযুদ্ধ। এ সময় সমুদ্রে মাছ ধরতে থাকা জেলেদের মাঝে আতঙ্ক জড়িয়ে পড়ে। বেপরোয়া গোলাগুলিতে তাদের আটজন গুলিবিদ্ধ হন।

এফবি শিরিন বোর্ডের মাঝি আবুল কাশেম জানান, ডাকাতদল এফবি ফুল মিয়া ট্রলারের মাঝি নেছার উদ্দিন (৪৫), মোমিন সুকানীর নামবিহীন একটি ট্রলারের এক জেলেসহ কমপে পাঁচ জনকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে।

জেলেদের বরাত দিয়ে মহিপুর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মিয়া জানান, ডাকাত দল সমুদ্রে গণডাকাতি করেছে। গুলিতে নিহত ও আহত হওয়া এফবি মা জননী ট্রলারটির মালিক রামগতি থানার আলেকজান্ডার এলাকার শহিদ মিয়া।

মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফজলু গাজী সাংবাদিকদের জানান, ট্রলারটি আহত ও নিহত জেলেদের নিয়ে নিজ এলাকায় ফিরে গেছে।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী পুলিশ সুপার শৈবাল কান্তি চৌধুরী জানান, ডাকাতির ঘটনা পটুয়াখালী জেলার মধ্যে হয়নি। এটি হয়েছে বরগুনা জেলার পাথরঘাটা ও সুন্দরবন এলাকায়। তবে ডাকাতদের বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত হওয়ার সত্যতা তিনি স্বীকার করেন।

 বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।