ঢাকা: ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে লঞ্চ ভাড়া না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নৌ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কে আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলে লঞ্চে যাত্রী পরিবহনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আয়োজিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বিআইডব্লিউটিএ’র নির্ধারিত ভাড়াতেই যাত্রী বহন করা হবে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট লঞ্চ মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় জানানো হয়, সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়াতে লঞ্চের ছাদে যাত্রী পরিবহন নিষিদ্ধ থাকবে। এ বিষয়ে পর্যবেণে মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনে বিআইডব্লিউটিএ বিশেষ লঞ্চ সার্ভিস চালু করবে।
নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল মান্নান হাওলাদার, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান আবদুল মালেক মিয়া, বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কামাল, সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক রিয়ার এডমিরাল (অব.) এম বজলুর রহমান, যাত্রী পরিবহন সংস্থার চেয়ারম্যান মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল এবং লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি কেএম মাহমুদ উর রহমান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
সভায় যাত্রীদের নিরাপত্তায় ঈদের আগে ও পরে নদীতে কোস্টগার্ডের টহল জোরদার করা ও সদরঘাটসহ সারাদেশের সব পন্টুনে সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা রাখতে সংশ্লিষ্ট বিভাগে অনুরোধ জানানোর সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় আরো জানানো হয়, ঈদের সময় ফেরিঘাটে কোনো যান নষ্ট হলে সঙ্গে সঙ্গে তা সরিয়ে নেওয়ার জন্য মাওয়া, আরিচা, কাওরাকান্দি ও পাটুরিয়া ফেরিঘাটে চারটি ‘রেকার’ রাখা হবে। এছাড়া ফেরির নির্বিঘ্ন চলাচলের জন্য ঈদের আগেই দ্রুত গতিতে ড্রেজিং কাজ শেষ করা হবে।
বৈঠকে ঈদের কয়েক দিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গেট থেকে সদরঘাট পর্যন্ত রাস্তাটি একমুখী রাখার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া সদরঘাটে যাত্রীদের পথনির্দেশে বিশেষ জনবল নিয়োগ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১০
