পিরোজপুর: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তদন্ত দলের সদস্যরা পিরোজপুরে তদন্ত কাজের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার বেশ কিছু নতুন তথ্য পেয়েছে। এ সময় জামায়াতের অন্যতম শীর্ষ নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মামলার বাদীর বক্তব্য ছাড়াও ১০ জন সাক্ষী ও মামলার-সংশ্লিষ্ট ৮ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
দুপুরে তদন্ত দল পিরোজপুরের পাড়েরহাট বন্দরের ব্যবসায়ী ও তৎকালীন নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে তাদের বক্তব্য রেকর্ড করেন। এ সময় মামলা-সংশ্লিষ্ট আলামতও সংগ্রহ করেন তারা।
এর আগে সকাল ১০ টায় পাড়েরহাটের রাজলক্ষী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ২০০৯সালের ২৯ আগস্ট সাঈদীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বাদী পিরোজপুরের জিয়ানগর উপজেলার টেংরাখালী গ্রামের মোঃ মাহাবুবুল আলাম ছাড়াও এ মামলার ১০জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য নেন।
তদন্ত টিমের প্রধান এ এসপি হেলাল উদ্দিন বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, এসকল এলাকা ঘুরে অনেক নতুন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। যা পাবলিক গ্রন্থাগার এমনকি মুক্তিযোদ্ধা যাদুঘরেও নেই। তদন্তের স্বার্থে নতুন তথ্যগুলো প্রকাশ করা যাচ্ছে না। কিন্তু মামলার অভিযোগ প্রমাণে এগুলো খুবই জরুরি।
তিনি আরো বলেন , জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী এবং তার সহযোগীরা যেসব এলাকায় হত্যা লুণ্ঠন, ধর্ষণ, অগ্নি সংযোগ চালিয়েছে সেসব এলাকার জনগণ ও মুক্তিযোদ্ধারা অনেক অজানা তথ্য দিয়েছেন, যা এর আগে কখনও কোনো মাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি ।
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘শুধু সাঈদীর বিরুদ্ধে নয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় পিরোজপুরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী যে কোনো অপরাধের তদন্ত করা হবে। তদন্ত কাজের প্রয়োজনে যতদিন প্রয়োজন ততদিন তারা পিরোজপুরে অবস্থান করবেন বলেও জানান তিনি ।
তদন্ত প্রসঙ্গে জেলা জামায়াতের আমীর তোফাজ্জেল হোসেন ফরিদ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। ’
অপর দিকে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট আকরাম হোসেন খান বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘তদন্ত যত স্বচ্ছ হবে জনগণ ততো ভালভাবে সেটি গ্রহণ করবে। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে তদন্ত কমিটির কথা বলা উচিৎ। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১০