ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

৭ দফা বাস্তবায়নে উত্তরবঙ্গ দু’দিনের কর্মবিরতি চলছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪২৭ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৭
৭ দফা বাস্তবায়নে উত্তরবঙ্গ দু’দিনের কর্মবিরতি চলছে

বগুড়া: সাত দফা বাস্তবায়নে উত্তরবঙ্গ ট্রাক, ট্যাংকলরি, কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ অধিকার আদায় বাস্তবায়ন কমিটির ডাকা দু’দিনের কর্মবিরতি রোববার (২১ মে) সকাল থেকে শুরু হয়েছে। 

শনিবার (২০ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সংগঠনের আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান আকন্দ বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, শনিবার (১৩ মে) বগুড়া প্রেসক্লাবে সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সাত দফা দাবি বাস্তবায়নে দু’দিনের কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়।

পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের তাদের ন্যায্য দাবিগুলো মেনে নিতে সময় দেওয়া হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের দাবি-দাওয়া পুরণে সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।  

এ অবস্থায় ন্যায্য অধিকার আদায়ে রোববার (২১ মে) সকাল ৬টা থেকে শুরু করে মঙ্গলবার (২৩ মে) সকাল ৬টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করা হবে। এতেও সমস্যার সমাধান না হলে আগামীতে লাগাতার কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও হুশিয়ারি দেন এই নেতা।  

এর আগে, শনিবার (১৩ মে) উত্তরবঙ্গ ট্রাক, ট্যাংকলরি, কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ অধিকার আদায় বাস্তবায়ন কমিটির নেতারা সাত দফা দাবি বাস্তবায়নে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেই সংবাদ সম্মেলন থেকে দু’দিনের কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়।  

সংবাদ সম্মেলনে সাত দফা দাবি সম্পর্কে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ট্রাক, ট্যাংকলরি, কাভার্ডভ্যান ও পিকআপ ভ্যানের কাগজপত্র ও ড্রাইভিং চেকিংয়ের নামে সড়ক-মহাসড়কে সব ধরনের পুলিশি হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। বাম্পার, সাইড অ্যাঙ্গেল ও হুক খোলার সরকারি আদেশ প্রত্যাহার করে নিতে হবে।  

এছাড়া ২০১৭ সালে মন্ত্রীসভায় নতুন খসড়া আইন প্রত্যাহার করতে হবে। বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত ব্রিজ স্কেলের নামে চাঁদাবাজি ও হয়রানি বন্ধ করতে হবে। সড়ক-মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধ করতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে বন্ধ করতে হবে হয়রানি। নতুন ড্রাইভিং ও হেভি লাইসেন্স সহজ শর্তে দিতে হবে।  

এসব দাবি বাস্তবায়নে গেলো বছরের ডিসেম্বর মাসের প্রথম দু’দিন কর্মবিরতি পালন করা হয়। ওই সময় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও ডিআইজি এসব দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেন।  

তারা বলেছিলেন, বিষয়টি আইন সংস্কারের বিষয়। তাই মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার আশ্বাস দেন। সেই আশ্বাসের প্রেক্ষিতে ওই সময় কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।  

কিন্তু দেড় দুই মাসের মাথায় আবারও সড়ক-মহাসড়কে দায়িত্বপ্রাপ্ত সার্জেন্ট ও হাইওয়ে পুলিশ বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এ অবস্থায় নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনের নেতারা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১০২৪ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৭
এমবিএইচ/এসএনএস
 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।