সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জে সংক্রামিত গরুর মাংস খেয়ে নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ২৬ ব্যক্তি অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
জেলার শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের চিথুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
অ্যানথ্রাক্স জীবাণুতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় ওই গ্রামের অধিবাসীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
আক্রান্তরা হলেন, জলিল (২৯), জাহাঙ্গীর (২৭) আলেয়া (৬), রহমতুলা (৬৬), ছালেহা বেগম (২৫), মালেকা খাতুন (৫৬), শাহ আলম (৪০), মেজাম্মেল হক (৪৫), নওশাদ (৩৮), হেলাল সরকার (২২), নজরুল (৪০), ছালাম (৪০), সোনাউলাহ (৭৫), মনছুর খন্দকার (৩৮), আছানুর (২২), রফিকুল (৩১), কবির (৩৮), নয়ন (১৭), রমজান (৩৯), জাহানারা খাতুন (৩০), রঞ্জিদা খাতুন (১৪), তায়জাল (৪০), আনিজা খাতুন (৩২), হেলেনা খাতুন (৩৫), বাবু সরকার (৩৮) ও হৃদয় (৪)।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ২৯ জুলাই ওই গ্রামের আব্দুস ছালামের অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত ষাঁড় এবং একই গ্রামের শাহ আলমের গাভী জবাই করে গ্রামবাসীর কাছে মাংস বিক্রয় করা হয়। আক্রান্ত ব্যক্তিরা সবাই ওই গরু জবাই, মাংস বানানো এবং খেয়ে আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। আক্রান্ত গরুর মাংস কাটার সময় যাদের শরীরের রক্ত বা মাংস লেগেছে তাদের তাদের শরীরের ওইসব স্থানে পুঁজ জমে তা পঁচতে শুরু করেছে। তস্থানে তীব্র ব্যাথার কথাও বলেছেন আক্রান্ত ব্যক্তিরা।
এদিকে, মেডিকেল অফিসার ডা. শরিফুল ইসলাম ও জেলা সেনেটারি ইন্সপেক্টর রাম চন্দ্র সাহার নেতৃত্বে সিভিল সার্জন অফিসের একটি দল বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে আক্রান্তদের আ্যনথ্রাক্স জীবানু নিশ্চিত করে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন।
সিভিল সার্জন ডা. নূরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘এরইমধ্যে ঢাকার স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের নির্দেশে আইইডিসিআর ও আইসিডিডিআরবি থেকে বিশেষজ্ঞ দল সিরাজগঞ্জে এসে পৌঁছেছেন। তারা শুক্রবার সকালে ওই গ্রামে গিয়ে পূর্ণাঙ্গভাবে আ্যনথাক্স রোগ নিশ্চিত করার পর সিভিল সার্জন অফিস থেকে আন্টিবায়েটিক ওষুধ সরাবরাহ করা হবে। ’
তিনি জানান, এ রোগ ছোঁয়াচে নয়। যারা আক্রান্ত গরুর মাংস নাড়াচাড়া করেছেন বা খেয়েছেন তারাই শুধু আক্রান্ত হতে পারে। আতঙ্কগ্রস্থ হওয়ার কিছু নেই। আগামীকাল থেকে এ বিষয়ে গ্রামবাসীদের সচেতন করতে মাইকিং করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১০