শুক্রবার (১৯ মে) বিকেলে খুলনা থেকে ছেড়ে যাওয়া রাজশাহীগামী আন্তঃনগর সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেসের এসি কেবিনের যাত্রী ব্যবসায়ী মো. কবীর এভাবেই ব্যক্ত করছিলেন তার যাত্রার কথা।
খুলনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে লাল-সবুজের অত্যাধুনিক বিলাসবহুল এ ট্রেনটি ২৫ এপ্রিল রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক উদ্বোধন করেন।
ট্রেনের আসন ব্যবস্থা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, বাথরুম সুবিধা, খাবার সব মিলিয়ে এক আনন্দদায়ক ও স্বস্তিদায়ক পরিবেশ তৈরি হওয়ায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা পথ চলতেও কোনো ক্লান্তি আসে না বলে জানান ট্রেনটির ‘চ’ বগির যাত্রী এম. রহমান।
তিনি জানান, আসন ব্যবস্থা, সিটের কোয়ালিটি, বাথরুম সুবিধাসহ অন্য সুযোগ-সুবিধা আগে ছিলো একবারে যাচ্ছেতাই। ফ্যান চলতো না, জানালা খুলতো না, বাথরুমে পানি সরবরাহে দুরাবস্থা, পানি ব্যবহারের সরঞ্জামেরও অভাব ছিলো। নতুনভাবে এ ট্রেনটির যাত্রা শুরু হওয়ায় সেসব সমস্যা এখন আর নেই।
খুলনা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আমিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, সাগরদাঁড়ি ট্রেনটিতে ভালোই যাত্রী হচ্ছে। ৯৬৬ জন যাত্রী যাতায়াত করতে পারছেন একসঙ্গে। যার মধ্যে এসি চেয়ার ৭৮টি, এসি কেবিনের সিট ৪৮টি এবং শোভন চেয়ার ৮৪০টি রয়েছে।
এ ট্রেনে রয়েছে সম্পূর্ণ আলাদা বাথরুম ও টয়লেট ব্যবস্থা। রয়েছে হাই কমোড ও ফ্ল্যাট কমোড, মনোফোকাস রিডিং ল্যাম্প, সাউন্ড কন্ট্রোল অ্যাটেনইউটর, ওভেন, ওয়াটার হিটার, ফ্রিজ, ইলেক্ট্রিক সেভার পোর্ট প্রভৃতি। যে কারণে যাত্রীরা খুব স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে পারছেন এ ট্রেনে।
এর আগে এ ট্রেনের ধারণ ক্ষমতা ছিলো ৬৩৫ জন। যা বেড়ে বর্তমানে ৯৬৬ জন হয়েছে। ২০০৭ সালের ১ জুন খুলনা থেকে রাজশাহী রুটে সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ট্রেনটি চলাচল শুরু করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৭
এমআরএম/ওএইচ/এএ