ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

তারুণ্যের উচ্ছ্বাস দূর করবে নিরক্ষরতা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৪ ঘণ্টা, মে ৫, ২০১৭
তারুণ্যের উচ্ছ্বাস দূর করবে নিরক্ষরতা পাঠশালার তরুণ স্বেচ্ছাসেবীরা/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ফেনী: বিকেল ৫টা। গ্রীষ্মের খরতাপ পেরিয়ে শুরু হয়েছে ছায়াময় স্নিগ্ধ বিকেল। ফেনী সরকারি কলেজ মিলনায়তনে একেএকে জড়ো হতে থাকে অর্ধ-শতাধিক তরুণ-তরুণী। সবার মুখেই তারুণ্যের উচ্ছ্বাস। একে অন্যের সঙ্গে আলোচনা, পরিকল্পনা চলছে, কারও জন্য অপেক্ষা করছে সবাই- তিনি আসবেন, কথা বলবেন, আর তার পর শুরু হবে কাজে নেমে পড়া।

এ কর্মব্যস্ততা ফেনীর ‘আঁই টিপ সই করি ন’ (আমি টিপ সই করিনি) প্রকল্পের কর্মীদের। শুক্রবার (০৫) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাদের মধ্যে এসে উপস্থিত হন ফেনী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রে সোহেল রানা।

প্রকল্পের আয়োজক পথের পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ফখরুল ইসলাম ফাহাদের সঞ্চালনায় প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ রেড়ক্রিসেন্ট সোসাইটি, মাস্তুল ফাউন্ডেশন, রোটারি ক্লাব অব অপূর্ব, আমরাই আগামী, রক্ত কনিকা, উই ক্যান চেইনঞ্জ ইউথ সোসাইটি, রক্তিম ব্লাড, ডোনেট ব্লাড, সেইভ লাইফ, ফেনী সাইক্লিস্ট, অভাস ও ফেনী লিওক্লাবের তরুণ স্বেচ্ছাসেবী নেতারা।

যাদের অধীনে কাজ করে কয়েক হাজার তরুণ স্বেচ্ছাসেবী। ফেনীকে নিরক্ষর মুক্ত করতে এ সাক্ষরতা আন্দোলনে সবাই সামিল হয়েছেন এক সংগঠনের ছায়াতলে।

স্বেচ্ছাসেবী নেতাদের বক্তব্যের পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা সব স্বেচ্ছাসেবীদের কর্মবন্টন করে দেন।

সোহেল রানা বলেন, ফেনী শহর ও জেলার বিভিন্ন প্রান্তে অনেক নিরক্ষর মানুষ রয়েছে। তাদের সবাইকে অক্ষর-জ্ঞান দেওয়াই হবে আমাদের মূল লক্ষ্য। তিনি জানান, পাড়া-মহল্লার নিরক্ষর ব্যক্তিদের বের করে প্রত্যেককে সাতটি পৃষ্ঠা, একটি কলম ও তার নাম লেখা একটি প্রিন্টআউট দেওয়া হবে। তাকে সাহায্য করবেন একজন সহায়তাকারী।

পাশাপাশি পরবর্তী সাতদিন স্বেচ্ছাসেবী টিম তার টিউটোরিয়াল মনিটিরং করবে। সাত দিন পর সাক্ষরতার পরীক্ষা। এভাবে একেকটি ওয়ার্ডের নিরক্ষর সবাইকে সাক্ষরতা শিক্ষা দিয়ে সেই ওয়ার্ডকে নিরক্ষর মুক্ত ঘোষণা করা হবে। পর্যায়ক্রমে পুরো জেলাকে নিরক্ষর মুক্ত করতে হবে।

এ উদ্যোগটি এগিয়ে নিচ্ছেন ফেনীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা। সবাই একজোটে একটি সংগঠন গড়েছেন, নাম দিয়েছেন ‘পথের পাঠশালা’। এটি মূলত একটি সাক্ষরতা আন্দোলন। প্রকল্পের স্বেচ্ছাসেবীরা চান, শুধু পথশিশুরা নয়, এ জেলার প্রতিটি মানুষ সাক্ষরতার আওতায় আসুক।

সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ফেনী জেলা প্রশাসন ও ফেনী পৌরসভা। এ পথচলায় সারথী হয়ে পাশে রয়েছে দেশের সর্বাধিক পঠিত অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম সহ স্থানীয় একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৭
এসএইচডি/ওএইচ/এসএইচ

**
আঁই টিপসই করি ন
** পথের পাঠশালার প্রেরণার গল্প

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।