ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় জড়িতদের নাম প্রকাশ করা হবে- আইন প্রতিমন্ত্রী

শামীম খান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১০
২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় জড়িতদের নাম প্রকাশ করা হবে- আইন প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা: ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার অধিক তদন্তের কাজ চলছে। তদন্তের মধ্য দিয়েই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তৎকালীন সরকারের মহাশক্তিধর বড় বড় নেতার নাম বেরিয়ে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।



বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে তাঁর কার্যালয়ে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে এই কথা বলেন তিনি।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িতদের সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে জানিয়েছেন, মামলায় যে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে তাতে ঘটনার উৎস সম্পর্ক জানা যায়নি। মামলার অধিকতর তদন্ত চলছে। গ্রেনেড হামলার মূল পরিকল্পনাকারী কারা তা তদন্ত শেষেই জানা যাবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সেদিন কাদের ইঙ্গিতে জজ মিয়া-নাটক সাজানো হয়েছিল, ঘটনার সব আলামত কেন নষ্ট করা হলো, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্যরা কেন টিয়ারগ্যাস ছুঁড়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করেছিল, কারা হামলাকারীদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছিল- তদন্তে সবকিছুই বেরিয়ে আসবে। ’

অ্যাডভোকেট কামরুল আরও বলেন, ‘তৎকালীন সরকারের উচ্চ মহলের নির্দেশ ও পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এত বড় ঘটনা ঘটতে পারে না। আমরা আশা করি, সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে মূল পরিকল্পনাকারী ও দোষী ব্যক্তিদের নাম,বেরিয় আসবে। ’

তদন্ত সংস্থার নিরপেক্ষতা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে ২১ আগস্টসহ এই ধরনের প্রতিটি মামলার তদন্তে প্রভাব বিস্তার ও সরাসরি হস্তক্ষেপের মাধ্যমে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করেছিল। আমরা তা করতে চাই না। ’

এ সময় তিনি উদাহরণ স্বরূপ ময়মনসিংহ বোমা হামলা, উদীচী বোমা হামলা, রমনা বোমা হামলা ঘটনার তদন্তের কথা উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো অবস্থাতেই তদন্ত সংস্থাকে প্রভাবিত করবো না। সংস্থা নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটিত করবে। জড়িতরা বিএনপি-জামায়াত জোটের যত বড় ক্ষমতাধর নেতা বা মহাশক্তিধর হোক  অবশ্যই তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। ’

উল্লেখ্য, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় বিভিন্ন সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।

তদন্তে তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে কিনা জানতে চাওয়া হলে অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

তিনি জানান, যেহেতু বিষয়টি তদন্তাধীন, এব্যাপারে তাই কোনো মন্তব্য করা বা কথা বলা ঠিক হবে না ।

বাংলাদেশে সময়: ১৩২৭ ঘণ্টা, ১৯ আগস্ট, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।