ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘হাওর ঘুরে মরা মাছ দেখতে পাইনি’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৭
‘হাওর ঘুরে মরা মাছ দেখতে পাইনি’ হাওর ঘুরে মরা মাছ দেখতে পাইনি-ছবি: বাংলানিউজ

সুনামগঞ্জ: বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মাদ জালাল উদ্দীন বলেছেন, ‘বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে হাওরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধান। ঘুরে দেখলাম অনেক কৃষক রয়েছেন যারা পানির নিচ থেকে ধান তুলে মাড়াই করছেন। কিন্তু এ ধান থেকে কোনো চাল পাওয়া সম্ভব নয় জেনেও তারা কিছু চাল পাওয়ার আশায় এ কাজ করছে।’

তিনি বলেন, ‘হাওর ঘুরে আজ আমি মরা মাছ দেখতে পাইনি। মনে হচ্ছে হাওরের পানি ঠিক হয়ে যাচ্ছে।

আর মাছ মরার সম্ভাবনা নেই। ’

এ দুর্যোগ থেকে কীভাবে মুক্তি পাওয়া যায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জালাল উদ্দীন বলেন, ‘এখানে স্থায়ী বাঁধ নিমার্ণের ব্যবস্থা করতে হবে। সেসঙ্গে আগাম জাতের ধান আবিষ্কার করে সেটি চাষ করতে হবে। গবেষণায় আগাম ধানের জাত আবিষ্কার করা সম্ভব। বাংলাদেশে একুশ দিন পানির নিচে থাকতে পারে এমন ধানের জাত তো রয়েছে। ’

এ দুর্যোগে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবও রয়েছে। সেটি আমরা সবাই নিজ চোখে দেখতে পাচ্ছি। কারণ যখন বৃষ্টি হাওয়ার কথা ওই সময় বৃষ্টি হচ্ছে। এ দুর্যোগে জলবায়ু পরিবর্তনের ভূমিকা রয়েছে।

সুনামগঞ্জের শনির হাওর, দেখার হাওর ও কড়চার পরিদর্শন করে এসে বিকেলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে বিএআরসি নির্বাহী চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দিনব্যাপী হাওর পরিদর্শন করে ওই প্রতিনিধি দলটি।

প্রতিনিধি দলে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএআরসি সদস্য পরিচালক (প্রাণিসম্পদ) ড. শাহ মো. জিকরুল হক চৌধুরী ও পরিচালক (পুষ্টি) ড. মো. মনিরুল ইসলাম।

এছাড়া বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৭
আরবি/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।