ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

তিস্তার পানিবণ্টন: মমতার বিরোধিতায় চুক্তি অনিশ্চিত

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১১
তিস্তার পানিবণ্টন: মমতার বিরোধিতায় চুক্তি অনিশ্চিত

ঢাকা: বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এরই মধ্যে বিষয়টি রাজ্যের মুখ্যসচিব সমর ঘোষের মাধ্যমে মমতা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অফিসকে জানিয়েছেন।

 

তিনি আরও জানিয়েছেন, আগামী মঙ্গলবার তার পক্ষে মনমোহনের সফরসঙ্গী হয়ে ঢাকা আসাও সম্ভব নয়। অথচ মনমোহনের এ সফরেই তিস্তার পানিবণ্টন দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে।

তাই মমতার চুক্তিবিরোধী অবস্থানের কারণে নিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি।

এদিকে তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চুক্তির বিষয়টি যখন পাকাপোক্ত তখনই ভারতের প্রধানমন্ত্রী দপ্তরে হঠাৎ মমতার বার্তাটি পৌঁছায়।

এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশসহ অনেকেই মমতার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। তারা মমতাকে বুঝিয়ে বলেন, এ চুক্তির ফলে রাজ্যের স্বার্থ কোনওভাবেই ক্ষুন্ন হবে না। কিন্তু কোনও যুক্তিই মমতা মানেননি।

মমতা উল্টো তাদের জানান, তিনি বাংলাদেশের বিরোধী নন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্কও অত্যন্ত মধুর। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রাজ্যবাসীর স্বার্থ দেখা তার অগ্রাধিকার।

রাজ্য সরকার জানায়, সম্প্রতি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে বৈঠক করে যে প্রতিশ্রুতি দেন তা চুক্তির চূড়ান্ত খসড়ায় মানা হয়নি। রাজ্য সরকার প্রাথমিকভাবে যে পরিমাণ পানি দিতে রাজি, মমতা-মেনন আলোচনার পর তার থেকে কিছু বেশি পানি দেওয়ার ব্যাপারে দু’পক্ষ সম্মত হয়।

কিন্তু চূড়ান্ত খসড়ায় তার থেকেও অনেক বেশি পানি বাংলাদেশকে দেওয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়। আর এতেই বাধ সেধেছেন মমতা।

মমতার অভিযোগ, তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে কেন্দ্র তার সঙ্গে তেমন আলোচনাই করেনি। এ বিষয়ে যত আলোচনা হয়েছে তৎকালীন বামফ্রন্টের সঙ্গে। আর এ বিষয়টি মমতা জানতে পারেন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদীর কাছ থেকে।

এরপর থেকেই শুরু হয় যত রাজনৈতিক প্যাঁচ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী শিবশঙ্কর মেননকে পাঠান এ বিষয়ে মমতার সঙ্গে কথা বলতে।

মেনন মমতাকে বলেন, আগে চুক্তিটা হয়ে যাক। তারপর আপনি এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে আপনার আপত্তির কথা জানাবেন। কিন্তু মমতা এতে রাজি হননি।

এ প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘আপনারা অসৎভাবে এ চুক্তি করতে চাইছেন। ’

এদিকে চুক্তির বিষয়ে মমতার সাহায্য প্রার্থনা করেছেন শেখ হাসিনা। কিন্তু মমতা উল্টো জানান, এই বিষয়টার সঙ্গে তার রাজ্যের স্বার্থ জড়িত।

বাংলাদেশ সময়: ১২০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।