বেনাপোল (যশোর): কর্তব্যে অবহেলা ও গাফিলতির অভিযোগে বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার দুই রাজস্ব কর্মকর্তাসহ চারজনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার ড. আব্দুল মান্নান শিকদার স্বারিত এ সংক্রান্ত চিঠি মঙ্গলবার অভিযুক্তদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়।
তারা হলেন- চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (পরিদর্শক) নূরুল হক, দেবাশীষ কুণ্ডু, উপ-পরিদর্শক আব্দুল মালেক ও কাস্টমস সিপাহি আসাদুর রহমান।
এদের মধ্যে নূরুল হক সিপাহি থেকে ও দেবাশিষ কুণ্ডু কার্ক থেকে সম্প্রতি সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা হয়েছেন।
গত ২৬ জুলাই ভারত থেকে ডব্লিউবি-১১-৬৪৬৬ ও ডব্লিউবি-২৫বি-০৯৬৩ নাম্বারের দুইটি ট্রাক পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে আসে। বন্দরে মাল খালাসের পর ভারতে প্রত্যাবর্তনকারী খালি ট্রাকের ক্রু মেনিফেস্ট সংরণ এবং দিন শেষে তা সংশ্লিস্ট শাখায় জমা দেওয়ার নিয়ম থাকলেও ওই দুটি ভারতীয় ট্রাকের কোনো রেকর্ড কার্গো শাখায় খুঁজে পাওয়া যায়নি। বরখাস্ত হওয়ারা ওইদিন চেকপোস্ট কার্গো শাখায় দায়িত্ব পালন করছিলেন।
সরকারি শুল্ক পরিশোধ না করেই ওই দুটি ট্রাকে করে পণ্য পাচার করা হওয়ার বিষয়টি বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হয়েছে। ভারতীয় কাস্টমস কর্তৃপরে খাতাপত্র পর্যালোচনা করে এই রহস্য উদঘাটন করে তারা।
বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষের দাবি, এর ফলে সরকার প্রায় কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা (সুপারিনটেনডেন্ট) রেজাউল হকসহ পাঁচ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (পরিদর্শক) আলী আকবর, মোস্তফা কামাল, বাবুল হোসেন, মঈনউদ্দিন ও নাজির হোসেন সরকারকে স্ট্যান্ড রিলিজ দেওয়া হয়েছে।
গত ১১ আগস্ট ঢাকা সেনানিবাস স্টেশনে ভারত থেকে আসা মৈত্রী ট্রেন থেকে তিন কোটি টাকার ভারতীয় শাড়ি, থ্রিপিসসহ অন্যান্য মালামাল আটক করে র্যাব।
দর্শনা কাস্টমস স্টেশনের কর্মকর্তারা এসব মালামাল আটক বা সরকারি শুল্ক আদায় না করে কর্তব্যে অবহেলা করেছেন বলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার ড. আব্দুল মান্নান শিকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘সরকারি কাজে অবহেলার জন্য বিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্যকে (শুল্ক) জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১০