ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ফেরি স্বল্পতা: দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটে গাড়ি পারাপারে বিঘ্ন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১০

রাজবাড়ী: ফেরি সংকটের কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে গাড়ি পারাপার মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে উভয় পাড়ে আটকা পড়েছে কমপক্ষে পাঁচ শতাধিক গাড়ি।



জানা গেছে, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ফেরি সংকট থাকলেও সম্প্রতি  বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ একতরফাভাবে এ রুটের শাহ মগদুম ও ভাষা শহীদ বরকত ফেরি দু’টি মাওয়ায় স্থানান্তর করে। এর আগে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নারায়ণগঞ্জ ডক ইয়ার্ডে পাঠানো হয় ফেরি শাহ পরাণ। সেটিও মেরামতের পর গত ১৫ আগস্ট থেকে মাওয়ায় যানপারাপারের কাজে নিয়োজিত করা হয়েছে। এ অবস্থায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ফেরি সংকট চরম আকার ধারণ করেছে।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়ার সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক খালেদ নেওয়াজ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, বুধবার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ৬টি রো রো এবং একটি কেটাইপ ছোট ফেরি চলাচল করছে। মঙ্গলবার ফেরি কপোতি হাইড্রলিক র‌্যামের ত্রু টির কারণে অকেজো হয়ে পড়লে সেটি পাটুরিয়ার ভাসমান ওয়ার্কশপ থেকে মেরামতের পর পুনরায় চালু করা হয়েছে। বুধবার সকালে দৌলতদিয়া প্রান্তে অকেজো হয়ে পড়ে ফেরি কেরামত আলী।

ফেরি স্বল্পতার কারণে বুধবার সকাল থেকেই দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা যানবাহনের ভিড় বাড়তে থাকে। এতে দৌলতদিয়া প্রান্তে চরম যানজটের সৃষ্টি হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, দুপুরে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন টার্মিনাল ইয়ার্ড ছাড়িয়ে দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাটের দিকে এক কিলোমিটার পর্যন্ত পৌছেছে। এতে ২ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক এবং যাত্রীবাহী বাসসহ ছোট বড় আরও শতাধিক গাড়ি আটকা পড়ে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের এ লাইন ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। পাটুরিয়া প্রান্তেও একই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সেখানেও ২ শতাধিক গাড়ি আটকা পড়েছে।

বিআইডব্লিউটিসি’র হিসেব অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় এ রুটে ১ হাজার ৪শ’ ১৭ টি গাড়ি পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে যাত্রীবাহী বাস ৩৬৮ টি, পণ্যবাহী ট্রাক ৬০৫ টি এবং মাইক্রোবাস, কারসহ ছোট গাড়ি রয়েছে ৪৪৪ টি।

এদিকে, ফেরি স্বল্পতার পাশাপাশি পাটুরিয়া প্রান্তে নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। সেখানে ফেরি ঘাটের পকেটে ২ টি এবং চ্যানেলে একটি ড্রেজার পলি অপসারণের কাজ করছে।

অবশ্য দৌলতদিয়া প্রান্তে এখনও নাব্যতা স্বাভাবিক রয়েছে। আগামী ঈদ মওসুম পর্যন্ত এখানে ড্রেজিং ছাড়াই স্বাভাবিক নাব্যতা থাকবে এমনটাই আশা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

তবে ভুক্তভোগীরা মনে করছেন, আসন্ন ঈদ মওসুমকে সামনে রেখে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ফেরি সংখ্যা বৃদ্ধি করা না হলে দেশের গুরুত্বপূর্ণ এ নৌরুটে চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।