মানিকগঞ্জ: পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারের ক্ষেত্রে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে সিরিয়াল নিয়ে চলছে ব্যাপক চাঁদাবাজি। এসব ট্রাক থেকে নির্ধারিত অঙ্কের চেয়ে দুই থেকে তিন গুণ বেশি অর্থ আদায় করছে খোদ বিআইডব্লিউটিসির কাউন্টার কর্মকর্তারা।
সোম, মঙ্গল ও বুধবার পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে সরেজমিনে এ চিত্র দেখা গেছে।
ট্রাক চালকরা জানিয়েছেন, পাটুরিয়ায় ফেরি পার হতে ট্রাক প্রতি বিআইডব্লিউটিসির নির্ধারিত ফি হচ্ছে ৯৬০ টাকা। কিন্তু কোন চালক নিজে সেই টিকিট কিনতে পারে না। বিআইডব্লিউটিসির এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা, কর্মচারী ও স্থানীয় প্রভাবশালী দালালদের মাধ্যমে ৯৬০ টাকার টিকিট ১৪০০-১৮০০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়। আর চালকরা বাধ্য হয়েই দালালদের কাছ থেকে কিনছেন টিকিট।
তারা আরও অভিযোগ করেন, ফেরি স্বল্পতা, নাব্যতা সংকট কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে যানজটের সুযোগেই এই চাঁদাবাজির মচ্ছব শুরু হয়।
ফেরি ঘাটে কথা হয় ট্রাক চালক আরশেদ আলীর সঙ্গে। তিনি জানান, ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে কাউন্টারে টিকিট মেলে না, অথচ টাকা বেশি দিলেই পুলিশ ও দালালদের কাছে পাওয়া যায় সে টিকিট।
যশোর থেকে আসা আরেক ট্রাক চালক রুস্তম জানান, পুলিশ এখানে নির্বাক ভূমিকা পালন করে। পুলিশের সঙ্গে দালালদের একটা যোগসাজস রয়েছে। এখানে পুলিশকে আবার ট্রাক প্রতি একশ টাকা করে দিতে হয়।
সম্প্রতি ঘাট পরিদর্শনে এসে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানও চাঁদাবাজির এ বিষয়টি স্বীকার করে সিরিয়াল নিয়ে বাণিজ্য বন্ধে বিকল্প পরিকল্পনা নেওয়া হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন।
অবশ্য অভিযোগ মানতে নারাজ বিআইডব্লিউটিসি’র টিকেট কাউন্টারের কর্মকর্তারা, সেই সঙ্গে পুলিশও।
পাটুরিয়া পুলিশ ফারির ইনচার্জ মোক্তাদের জানান, পুলিশ চাঁদাবাজির সাথে জড়িত একথা সত্য নয়। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১০