বেনাপোল: দুই বাংলার সম্প্রীতির বন্ধন দৃঢ় করার উদ্দেশ্যে ৩৫ সদস্যের বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সাইকেল র্যালি বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় বেনাপোল চেকপোস্টে এসে পৌঁছানোর পর তাদেরকে ব্যাপক সম্বর্ধনা দিয়েছে সুকান্ত সংসদ, শার্শা উপজেলা প্রশাসন, বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ও যশোর কিশোর বাহিনী অভ্যর্থনা কমিটি।
যশোর কিশোর বাহিনী অভ্যর্থনা কমিটির সমন্বয়ক ইকবাল কবির জাহিদ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, জেলার সকল সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে তাদেরকে অভ্যর্থনা ও দুই দিন ব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
বেনাপোল পার হয়ে র্যালিটি এখন যশোরের পথে নাভারনে রয়েছে।
এদিকে অভ্যর্থনা কমিটি সূত্র জানায়, গত সোমবার কলকাতায় এ র্যালির উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও কবি সুকান্তের ভাইপো বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এর যৌথ আয়োজক হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের শিশু কিশোরদের সংগঠন কিশোর বাহিনী এবং বাংলাদেশে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের আদর্শের সংগঠন ‘সুকান্ত সংসদ”।
কবি সুকান্তের ৮৪তম এবং কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলে এ র্যালির আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান র্যালির সমন্বয়ক রক্তিম দাশ ও সুকান্ত সংসদের যুগ্ম আহবায়ক সঞ্জীব রায়।
২১ আগস্ট মৈত্রী র্যালির সদস্যরা গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় কবি সুকান্তের পৈত্রিক ভিটায় পৌঁছাবে। ওই দিনই টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজারে শ্রদ্ধা জানানোর পর বিকেলে কবি সুকান্তের পৈত্রিক ভিটায় ফলক স্থাপন অনুষ্ঠানে অংশ নিবেন তারা। একইভাবে ২২ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের বারদিতে পশ্চিমবঙ্গের প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী কমরেড জ্যোতিবসুর বাড়িতেও ফলক স্থাপন করা হবে। সবশেষে ২৩ আগস্ট ঢাকায় এক সমাপনী অনুষ্ঠানে মিলিত হবে মৈত্রী র্যালি।
সুকান্ত সংসদের আহবায়ক আনোয়ারুল করিম রাজু জানান, মৈত্রী সাইকেল র্যালি দু‘দেশের সাংস্কৃতিক সম্প্রীতি ও যোগাযোগকে মজবুত করবে। সেই সঙ্গে দুই বাংলার নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেবে মানবিক মূল্যবোধের সংস্কৃতি।
সোমবার সকালে কলকাতার যাদবপুরের সুকান্ত সেতু থেকে দুই বাংলার সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন দৃঢ় করার ল্য নিয়ে র্যালিটি যাত্রারাম্ভ করেছে। র্যালিকে সফল করতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারসহ ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা,আগস্ট ১৮, ২০১০