ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ১২ গ্রামের মানুষ মঙ্গলবার সকালে পুলিশ ও পৌর মেয়রের বাধায় এক ব্যক্তির উঠানে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।
আয়োজক মো. সায়েদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ভবানীপুর, শ্রীপুর, হরিণাকুণ্ডু শুড়া, চিথলিয়াপাড়া, ফতেপুর, পার্বতীপুর, তাহেরহুদা, বলরামপুর ও বৈঠাপাড়াসহ ১২ গ্রামের মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়।
এরপর ১১টার দিকে তারা সাইদুর রহমানের বাড়ির আঙ্গিনায় ঈদের জামাতের আয়োজন করেন এবং সেখানেই নামাজ পড়েন। পুলিশি বাধায় অনেক মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেননি বলে সাইদুর রহমান জানান।
এ বিষয়ে হরিনাকুণ্ডু পৌর মেয়র শাহিনুর রহমান রিন্টু বাংলানিউজকে জানান, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপনে কোনো বাধা না থাকলেও ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী আকাশের চাঁদ দেখে সারা দেশে একই সঙ্গে ঈদ উদযাপন এবং ঈদের নামাজ আদায় করা উচিৎ। আর এই ১২টি গ্রামের মানুষ চাঁদ দেখে সারা দেশের সঙ্গে মিল না রেখে ঈদ উদযাপন করায় বাধা দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে হরিনাকুণ্ডু থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহাবুব হোসেন জানান, এভাবে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে একই জেলায় ঈদের নামাজ আদায় করলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। তাই, তাদের নামাজ আদায় করতে দেওয়া হয়নি। তাদের বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়া হলেও শুনেছি এক ব্যক্তির উঠানে তারা ঈদের নামাজ পড়েছেন।
এ ব্যাপারে হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে জানান, তিনি শুনেছেন কিছু মানুষ মঙ্গলবার ঈদ উদযাপন করেছেন।
হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, তিনি শুনেছেন ৫০/৬০ জন মানুষ ঈদের নামাজ পড়েছেন।
এদিকে পৌর মেয়র ও পুলিশ ঈদের নামাজ পড়তে না দেওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
রফি উদ্দীন নামে এক মুসল্লি বাংলানিউজকে বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশ ব্যতিত সব দেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। এমনকী আমাদের দেশের পূর্বে অবস্থিত মালেশিয়াতেও ঈদ হচ্ছে। তাহলে আমরা কেন ঈদ করতে পারবো না?’
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২০১১