ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ইব্রাহিমের মৃত্যু: ডিবি’র তদন্ত শুরু, ওসি-দারোগাকে বুধবার জিজ্ঞাসাবাদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১০
ইব্রাহিমের মৃত্যু: ডিবি’র তদন্ত শুরু, ওসি-দারোগাকে বুধবার জিজ্ঞাসাবাদ

ঢাকা: পিস্তলের গুলিতে ইব্রাহিম নিহত হওয়ার ব্যাপারে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ জোর তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তের প্রথম দিনে মঙ্গলবার তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।



বুধবার গোয়েন্দা কার্যালয়ে ডেকে পাঠানো হয়েছে শেরেবাংলানগর থানার ওসি রীয়াজ হোসেন ও এসআই আজিমুদ্দিনকে।  

ডিএমপি ডিবি’র (দক্ষিণ) উপ-পুলিশ কমিশনার মাহবুবুর রহমানের তত্ত্বাবধানে একজন এসি ও দু’জন ইন্সপেক্টর মঙ্গলবার ইব্রাহিম নিহত হওয়ার পুরো বিষয়টি তদন্ত শুরু করেন। এই দিন ডিবি কর্মকর্তারা ইব্রাহিম নিহত হওয়ার স্পট পরিদর্শন করেন।

এরই মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এমপি নূরুন্নবী চৌধুরী শাওনের পাজোরো গাড়িচালক কামাল হোসেন কালা’কে।

এছাড়া, কালো রঙের যে নোয়া মাইক্রোতে শুক্রবার রাতে ইব্রাহিমের মৃতদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল সে গাড়িটির মালিক এমপি শাওনের বন্ধু মাজহারুল ইসলাম মিঠু ও তার চালক মিজানুর রহমান মিজানকে বিকেলে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে ডেকে নেওয়া হয়। গুলিতে ইব্রাহিমের নিহত হওয়ার বিষয়ে তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে ডিবি সূত্রে জানা গেছে।

মাজহারুল ইসলাম মিঠুর গাড়িটিও (ঢাকা মেট্রো চ-১১-৭২৯৭) মঙ্গলবার জব্দ করে ডিবি পুলিশ।

গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মাহবুবুর রহমান বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, ঘটনাস্থলে অবস্থানকারী ব্যক্তিসহ দুই গাড়ি চালককে জিজ্ঞাসাবাদে এ পর্যন্ত ‘ইব্রাহিম মৃত্যু’র ঘটনায় এমপি নূরুন্নবী চৌধুরী শাওনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তবে, এমপি শাওনের পাজেরো জিপের ভিতরেই ইব্রাহিম আহমেদ নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

তিনি বলেন, পাজেরো জিপের চালক কামাল হোসেন কালা নিজ উদ্যোগে অপর চালক মিজানের মাইক্রোবাসে গুলিবিদ্ধ ইব্রাহিম আহমেদকে তুলে হাসপাতালের পথে রওনা দেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন তারা দুজনই।  

উপ-কমিশনার মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘লাইসেন্স করা পিস্তলটি গাড়ির সিট পকেটে রেখে যাওয়া সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের ‘অসাবধানতা’র প্রমাণ। ’

জিজ্ঞাসাবাদে দুই চালকই জানান, ইব্রাহিম গুলিবিদ্ধ হওয়ার সময় সেখানে এমপি শাওন বা অন্য কেউ উপস্থিত ছিলেন না। দরজা-জানালা বদ্ধ গাড়ির ভিতরে ছিলেন ইব্রাহিম, আর বাইরে গাড়ি ধোয়া মোছার কাজে ব্যস্ত ছিলেন কামাল হোসেন কালা (গাড়ি চালক)।

এদিকে এমপি শাওনের সঙ্গে ঘনিষ্ট একটি সূত্রে জানা যায়, ইব্রাহিমকে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরপরই চালক কামাল হোসেন কালা তাকে নোয়া গাড়িতে তুলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন। মেডিকেল গেটের কাছ থেকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি নূরুন্নবী চৌধুরী শাওনকে জানান তারা। এমপি শাওন তখনই শেরেবাংলানগর থানার অফিসার ইনচার্জ রীয়াজ হোসেনকে ঘটনাটি জানালে তিনি এমপি হোস্টেল এলাকায় পৌঁছে এমপি শাওনের সঙ্গে আলোচনা করে নিজ থানায় ফিরে যান।

ওই মুহূর্তেই ওসি কেন বিষয়টি তার উর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তাদের অবহিত করেননি তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে গোয়েন্দা দপ্তরে।

ডিএমপি ডিবি’র একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, এ কারণেই পুলিশেরই এই দুই কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

তিনি জানান, বুধবারই ইব্রাহিমের মৃত্যু সংক্রান্ত ইউডি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরেবাংলানগর থানার উপ-পরিদর্শক আজিমুদ্দিন ও অফিসার ইনচার্জ রীয়াজ হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

বাংলাদেশের স্থানীয় সময় : ২১৪৭ ঘন্টা, আগস্ট ১৭, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।