ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

সাতক্ষীরায় ঈদ বাজার নিস্তেজ

সাজিদুল হক সাজু ও মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২১ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১১

সাতক্ষীরা: বন্যার কারণে এবার  জমে ওঠেনি সাতক্ষীরার ঈদের বাজার। সাতক্ষীরা সদর, তালা, কলারোয়া, আশাশুনি দেবহাটার ৫৪টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা পানিতে তলিয়ে থাকায় দূর্গত মানুষের মধ্যে নেই ঈদের আনন্দ।

আয়ের অন্যতম উৎস চিংড়ি ঘের ডুবে যাওয়ায় এবারের ঈদে বেচা-কেনা কম হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে।

সাতক্ষীরার থানা রোডের দু’পাশেই জেলার সবচেয়ে বেশি কাপড়ের দোকান। মঙ্গলবার বিকেলে ওই এলাকার রাস্তা-ঘাট ছিলো ফাঁকা। অধিকাংশ দোকানিরাই বলছে আশেপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে ডুবে থাকায় মানুষের মধ্যে ঈদের আমেজ নেই। যেকারণেই পোশাক থেকে শুরুকরে সব কিছুর বিক্রি অনেক কমে গেছে।

রোজার শুরু থেকেই টানা বর্ষনে সাতক্ষীরা জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়ে। পানিবন্দি হয়ে পড়ে কয়েক লাখ মানুষ। বন্যার কারণে অর্থনৈতিক অবস্থা কাহিল হয়ে পড়েছে প্লাবিত এলাকার মানুষের।  

এর মধ্যেও যারা ঈদের কেনাকাটা করছেন তারা অনেকেই যাচ্ছেন না অভিজাত মার্কেটগুলোতে। শহরের নিউমার্কেট, আমেনিয়া মার্কেট, মেহরুন প্লাজা, সিটি মার্কেট, মেহেদী প্লাজার বিভিন্ন দোকানে এবার মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের দেখাই মিলছে না। শহরের ফুটপাতের দোকান থেকেই তারা সারছেন ঈদের কেনা-কাটা।

কাপড় ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান সৈকত বাংলানিউজকে বলেন, ‘অন্য বছরগুলোতে ঈদের সময় যেরকম বিক্রি হয় এবার তার সিকিভাগও হচ্ছে না। রমজানের শুরুতে কিছু বিক্রি হয়েছিলো তবে শেষ মুহূর্তের বিক্রি হতাশাজনক। ’

চিংড়ি ব্যবসায়ী মোশতাক আহমেদ আক্ষেপ করে বলেন, ‘ঈদের আগে সম্পূর্ণ ঘের ডুবে গেছে এর মধ্যে ঈদ করবো কীভাবে। ’

সদরের দহখোলা গ্রামের ভ্যানচালক শামসুর রহমানের লিজ নিয়ে ২বিঘা জমিতে রোপা আমন চাষ করেছিলেন। পুরো জমিটাই পানিতে ডুবে যাওয়ায় তিনি এখন দিশেহারা। বাংলানিউজের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘হাতে কিছু টাকা ছিলো ভেবেছিলাম ঈদের সময় বাচ্চাদের জামা কিনে দিবো। জমিটা পানিতে ডুবে যাওয়ায় এখন সেই টাকা রেখে দিয়েছি জমির লিজের বাকিটাকা শোধ করবো বলে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।