চট্টগ্রাম: কুমিরা রেলস্টেশনে আটকে পড়ে থাকা চট্টগ্রাম-ঢাকাগামী যাত্রীবাহী ট্রেন মহানগর প্রভাতী অবশেষে দুপুর ১টা ২০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে চলে যায়।
কুমিরা রেলস্টেশন ম্যানেজার আ. বাতেন বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা আসার সময় পথিমধ্যে কুমিরা স্টেশনের কাছে মহানগর প্রভাতী ট্রেনের পেছনে থাকা অতিরিক্ত ২টি বগি বিকল হয়ে যায়। এতে করে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
পরে রেলওয়ে বিভাগ থেকে লোকজন এসে ত্রুটি মেরামত করার পর দুপুরে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বগি ২টি বিকল হয়ে গেলে মহানগর প্রভাতী ট্রেনটি কুমিরা রেল স্টেশনে আটকা পড়ে।
এতে করে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এদিকে, সীতাকুণ্ড থানার পুলিশ কুমিরা স্টেশনে মারমুখি ধারণ করলে বিক্ষোভরত যাত্রীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।
সীতাকু- থানার ওসি নূর মোহাম্মদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘বগি ২টির ত্রুটি মেরামত করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, আর আধা ঘণ্টার মধ্যে মহানগর প্রভাতী ট্রেনটি গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যেতে পারবে। ’
তিনি বলেন, ‘আর বিক্ষোভরত যাত্রীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার পর সাগরিকা ট্রেনটি দুপুর ১২টার দিকে কুমিরা স্টেশন ছেড়ে গেছে। ’
এর আগে সকালে মহানগর প্রভাতী ট্রেনের অতিরিক্ত দুটি বগি বিকল হয়ে গেলে এর চালক নাসির উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, বগি বিকল হয়ে যাওয়ার খবর কুমিরা স্টেশন ম্যানেজার এবং চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজারকে জানানো হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বগি ২টি সরানো কিংবা ত্রুটি সারানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
চালক জানিয়েছেন, অতিরিক্ত বগি ২টি কাজ না করায় স্টেশন এলাকায় বিকল হয়ে যায়।
এদিকে, বিক্ষুদ্ধ ট্রেন যাত্রীরা স্টেশনে ভাঙচুর এবং স্টেশন ম্যানেজার আব্দুল বাতেনকে মারধর করেন। এরপর স্টেশন ম্যানেজার তার ফোন বন্ধ রেখে স্টেশন থেকে পালিয়ে যান।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরগামী সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি কুমিরা স্টেশন অতিক্রম করার সময় বিক্ষুদ্ধ মহানগর প্রভাতী ট্রেনের যাত্রীরা এ ট্রেনের গতিরোধ করে দিলে ট্রেনটি আটকে রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১১