ঢাকা: বিএনপিদলীয় সাবেক সাংসদ এহছানুল হক মিলনের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ ও সার্টিফিকেট মামলার রায় তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন উচ্চ আদালত। পাশাপাশি নিম্ন আদালতের রায় কেন বাতিল হবে না তা চার সপ্তাহের মধ্যে জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
বিচারপতি মামনুন রহমান ও সৈয়দা আফসার জাহানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
২০০৯ সালে সাবেক সাংসদ এহছানুল হক মিলনের বিরুদ্ধে সংসদ সচিবালয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে চাঁদপুরে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা হয়। ওই মামলায় আদালত গত ৮জুলাই তারিখে তার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেন ।
ওই মামলায় বলা হয়, কোনো বাংলাদেশি দুইটি বৈধ পাসর্পোট বহন করতে পারেননা। এহছানুল হক মিলন সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় দুইটি পাসপোর্ট বহন করতেন। এছাড়া আইনগতভাবে তিনি সংসদ সদস্য হতে পারেন না। এজন্য সংসদ সদস্য থাকাকালিন সময়ে রাষ্ট্রীয় সমুদয় সুযোগ সুবিধার অর্থ ফেরত চাওয়া হয়।
এদিকে, একইদিন বিকেলে চাঁদাবাজির অপর এক মামলায় এহছানুল হক মিলনের ছয় মাসের আগাম জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। পাশাপাশি তাকে কেন স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না তা ৪ সপ্তাহের মধ্যে জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
বিএনপি দলীয় সাবেক এ সংসদ সদস্যের আপিল আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি শেষে বিচারপতি সৈয়দ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।
শুনানিতে অংশ নেন ব্যরিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল।
জানা যায়, ২০০৬ সালে জানুয়ারি মাসে জনৈক গাজী কামাল বাদী হয়ে মিলনের বিরুদ্ধে ২ লাখ টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগে এ মামলা দায়ের করেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, আগষ্ট ১৭, ২০১০।