ঢাকা: বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষে লোকবল নিয়োগে স্বজনপ্রীতি বা পক্ষপাতিত্ব নয়, এলাকাপ্রীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ চুক্তি ভিত্তিতে যে ৮২ জন লোক নিয়োগ করে তাদের ৪৮ জনের বাড়িই গোপালগঞ্জে।
গত ১৫ জুলাই চুক্তি ভিত্তিতে নিয়োগকারীদের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ মাস্টাররোলে এভাবে লোকবল নিয়োগ করতে পারে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
৪৮ জনের বাইরে একক জেলা হিসেবে সর্বোচ্চ পাঁচজন নিয়োগ পেয়েছেন যশোর থেকে। এছাড়া বরিশালের চারজন, ঢাকার তিনজন, ফরিদপুরের তিনজন, লালমনিরহাটের তিনজন, ঝিনাইদহের তিনজন, মাদারীপুরের দুইজন, পাবনার দুইজন, পিরোজপুরের দুইজন, বাগেরহাটের দুইজন নিয়োগ পেয়েছেন। লক্ষ্মীপুর, ফেনী, নাটোর, নীলফামারী থেকে নিয়োগ পেয়েছেন একজন করে।
হিসাব করণিক পদে ১৪ জন, তথ্য সহকারী পদে চারজন, রেকর্ড কিপার পদে ছয়জন জন, স্টোরম্যান, ট্রাফিক হ্যান্ড পদে ছয়জন, পাম্প ড্রাইভার পদে সাতজন, ইএম হেলপার পদে ১৬ জনসহ মোট ৫৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও এসি অপারেটর পদে, নিরাপত্তা সুপারভাইজার, এমটি ড্রাইভার, সিভিল হেলপারসহ বিভিন্ন পদে ২৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
গোপালগঞ্জ থেকে এই সংখ্যক লোক নিয়োগ পেলেও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী জিএম কাদেরের নির্বাচনী এলাকা লালমনিরহাট থেকে অবশ্য মাত্র তিনজন এ তালিকায় স্থান পেয়েছেন।
নিয়োগের পর বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) ক্যাপ্টেন (অব:) ইকরাম উল্লাহ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি অনুলিপি বিমান মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার কমোডর মাহমুদ হোসাইনের সঙ্গে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডির পক্ষ থেকে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১০