শনিবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।
রুয়েট সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ হবার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক ৪০ ক্রেডিটের মধ্যে ন্যূনতম ৩৩ ক্রেডিট অর্জন করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ৩৩ ক্রেডিটের এ পদ্ধতির কারণে শিক্ষার্থীরা নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। বিশেষ করে, রুয়েটে ক্লাস-ল্যাবের সংকট থাকার কারণে যারা ক্রেডিট অর্জন করতে পারবে না তাদের অন্য ব্যাচের সঙ্গে ক্লাস বা ল্যাবে থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে জায়গা ও শিক্ষাগত দুই দিকেই সমস্যা হবে। এছাড়া কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থতা বা কোন সমস্যার কারণে পরীক্ষা দিতে না পারলে তার এক বছরের বেশি সময় ক্ষতি হবে। এমনকি সিলেবাসগত জটিলতাতেও পড়তে হয় ওই শিক্ষার্থীকে। প্রশাসন কোনো পদ্ধতি প্রণয়ন করলে সেটা সবদিক বিবেচনা করে করা উচিত।
এসময় শিক্ষার্থীরা এ পদ্ধতি বাতিল করে আগের পদ্ধতি পুনরায় চালুর দাবি জানান। দাবি মানা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি পালন করবেন বলে হুশিয়ারি দেন আন্দোলরত শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবি অযৌক্তিক উল্লেখ করে রুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল আলম বেগ বাংলানিউজকে বলেন, ফেল করে কি কখনো উপরের ক্লাসে উঠা যায়? আমরা তাও তো একটি/দুটি বিষয়ে ফেল করলেও যেন পরের বর্ষে উঠতে পারে সে ব্যবস্থা রেখেছি। ওরা তো সব বিষয়ে ফেল করেও পরবর্তী বর্ষে উঠার দাবি করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৭
এনটি