ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

গ্যাস স্টেশনের নিরাপত্তা চেয়ে মালিক সমিতির চিঠি, রমজানের পর আন্দোলনের আল্টিমেটাম

হাসান আজাদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১০
গ্যাস স্টেশনের নিরাপত্তা চেয়ে মালিক সমিতির চিঠি, রমজানের পর আন্দোলনের আল্টিমেটাম

ঢাকা: সিএনজি স্টেশনগুলোর নিরাপত্তা চেয়ে দেশের চারটি গ্যাস সরবরাহ কোম্পানিকে সোমবার চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনর্ভাসন ওয়ার্কশপ ওনার্স এসোসিয়েশন। দিনে ছয় ঘন্টা স্টেশন বন্ধ রাখার নির্দেশ রমজানের পর বাতিল করা না হলে আন্দোলনে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন।

 

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন নয়ন সোমবার বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডি’কে এ কথা জানান।

তিতাস গ্যাস এন্ড ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড, জালালাবাদ গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড, কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড ও বাখরাবাদ গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডকে এসব কথা জানিয়ে চিঠিটি পাঠানো হয়েছে।

জাকির হোসেন বলেন, ‘এখন সিএনজি স্টেশন ছয় ঘন্টা বন্ধ রাখা হলেও রমজানের পরে যদি সরকার এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত না নেয় তাহলে অ্যাসোসিয়েশন আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে। ’

এর আগে সোমবার দুপুরে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেন অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।

জাকির হোসেন বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘বৈঠকে আমরা আমাদের দাবির কথা তাদের জানিয়েছি। সরকার সোমবার থেকে সিএনজি স্টেশন ৬ ঘন্টা বন্ধ রাখার জন্য বলেছে কিন্তু কবে থেকে এ সিদ্ধান্ত বাতিল করা হবে তা জানায়নি। এ বিষয়ে তিতাস গ্যাসের এমডিকে প্রশ্ন করা হলে তিনিও জানাতে পারেননি। ’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার প্রথমে রাজধানী ও এর আশেপাশের স্টেশনগুলোর বন্ধ রাখার কথা বললেও পরে সারা দেশের ৫৬৫টি সিএনজি স্টেশন বন্ধের কথা বলা হচ্ছে। ’

জাকির হোসেন জানান, গ্যাস সরবরাহকারী চারটি কোম্পানিকে সিএনজি ওনার্স এসোসিয়েশনের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে রমজানে প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ৬ ঘন্টা সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখা হবে। কিন্তু এই সময়ে গ্রাহকরা সিএনজি সংগ্রহ করে থাকে। ফলে গ্রাহক দুভোর্গ বেড়ে যেতে পারে। এই কারণে যদি কোন ধরনের গ্রাহক অসন্তোষের কারণে সিএনজি স্টেশনে হামলা হয় তাহলে সে দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।

সরকারের সিদ্ধান্ত গ্যাস সরবরাহকারী কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে সিএনজি স্টেশনগুলোকে জানানো হয়েছে বলে সংগঠনের পক্ষ থেকেও এ চিঠিও ওই কোম্পানিগুলোর কাছেই যাচ্ছে বলে জানান জাকির হোসেন।    

উল্লেখ্য, গৃহস্থালী কাজে সরবরাহ করা গ্যাসের প্রেসার বাড়ানো এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ করতেই সিএনজি স্টেশনগুলো দিনে ছয় ঘণ্টা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এদিকে, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ সিএনজি স্টেশনগুলো নির্দেশ মোতাবেক বন্ধ থাকছে কি না তা তদারকিতে মঙ্গলবার থেকে যৌথ মনিটরিং চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে।

সোমবার দুপুরে সিএনজি স্টেশনের মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজ খান এ মনিটরিং সেল গঠনের প্রস্তাব দিলেও সিএনজি স্টেশনের মালিকদের পক্ষ থেকে তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি।

তবে এরই মধ্যে পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মাইন) মোল্লা মো. মবিরুল হোসেনকে প্রধান করে ৬ সদস্যবিশিষ্ট একটি উচ্চ পর্যায়ের মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে।

স্টেশন মালিকরা অবশ্য রমজানে সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখার বিষয়ে যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন বলে বৈঠক সুত্রে জানা গেছে।

বৈঠকে সিএনজি ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি শফিউল ইসলাম কামাল, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন নয়ন সহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৫৫২, আগষ্ট ১৬, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।