নীলফামারী: অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার ৪ জেএমবি সদস্যের প্রত্যেককে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আদালত-২ এর বিচারক আনছার আলী। এদের মধ্যে এক জঙ্গি পলাতক রয়েছে।
সোমবার জনাকীর্ণ আদালতে ১০জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর আসামিদের বিরুদ্ধে এই রায় প্রদান করা হয়।
রায় ঘোষণার সময় আদালত চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ ছাড়াও র্যাব মোতায়েন করা হয়।
সাজাপ্রাপ্ত ৭ আসামি হচ্ছে নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবি’র (জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ) সক্রিয় সদস্য নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা দণি খড়িবাড়ি গ্রামের গোলাম কিবরিয়ার ছেলে গোলজার হোসেন (২২), লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার নবীনগর গ্রামের আমির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল বারী ওরফে বকুল(২৫), নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার মুন্সিপাড়া গ্রামের আবু বক্করের ছেলে নূর-ই আলম (২৫) এবং লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার রফিকুল ইসলাম মঞ্জুরুলের ছেলে রাসেল (২৮)।
এদের মধ্যে রাসেল পলাতক রয়েছে।
রায়ে বলা হয় জামিনে থাকা পলাতক আসামি রাসেল যেদিন গ্রেফতার হবে সেদিন থেকে তার সাজার মেয়াদ শুরু হবে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৩ ডিসেম্বর মধ্যরাতে গোপন বৈঠক করার সময় জেএমবি’র তিন সদস্যকে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার একটি মাদ্রাসা থেকে পুলিশ আটক করে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে জলঢাকা থানায় একটি মামলা হয়।
পরে রিমান্ডে আসামিদের দেয়া তথ্য মোতাবেক পুলিশ লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রামের আব্দুল বারী ওরফে বকুলকে তার বাড়ি থেকে চাইনিজ কুড়াল, চাপাতি ও বেশকিছু ধারালো অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে।
এ ঘটনায় সাব-ইনাসপেক্টর মোজাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই চার জনের বিরুদ্ধে জলঢাকা থানায় অস্ত্র আইনে আরো একটি মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১০