ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘১১ কেজি চাল কম পেয়েছেন হতদরিদ্ররা’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০১৭
‘১১ কেজি চাল কম পেয়েছেন হতদরিদ্ররা’ মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টার ইন এ সিপিডি সংবাদ সম্মেলনে; ছবি-দীপু মালাকার

ঢাকা: সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্র প্রতিটি পরিবার গত তিন মাসে গড়ে ১১ কেজি করে চাল কম পেয়েছে বলে দাবি করেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

রাজনৈতিক প্রভাব ও হতদরিদ্রের সঠিক সংজ্ঞা নির্ধারণ না করায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানায় সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

হতদরিদ্রদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি’র আওতায় ৫০ লাখ পরিবারকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল দিচ্ছে সরকার।

 পরিবার প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে।  এই চাল দেয়া শুরু হয়েছে বিদায়ী বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে।

শনিবার (জানুয়ারি ৭) রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টার ইন এ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিপিডি চলতি অর্থবছরের (২০১৫-১৬) প্রথম ছয় মাসের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে কিছু সুপারিশও তুলে ধরে।

সিপিডি’র সিনিয়র গবেষণা পরিচালক ড. গোলাম মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘হতদরিদ্রদের জন্য কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে চাল দিচ্ছে সরকার।  এই কর্মসূচির বিষয়ে আমরা নরসিংদী জেলায় মাঠ পর্যায়ে মনিটারিং করেছি।  এতে দেখতে পেয়েছি গড়ে প্রতিটা পরিবার ১১ কেজি করে চাল কম পেয়েছেন।  প্রায় ৪৯ হাজার জনের উপর জরিপ করে দেখেছি তিন মাসে প্রতিটা পরিবারের ৯০ কেজি চাল পাওয়ার কথা। কিন্তু এর বিপরীতে পেয়েছে মাত্র ৭৯ কেজি।  কোনো উপজেলায় কেউ কেউ ১০০ কেজি চাল পেয়েছে প্রভাব বিস্তার করে এবং ডিলারদের কারসাজির কারণে। ’

সিপিডির ফেলো দেবপ্রিয়  ভট্টাচার্য বলেন, হতদরিদ্রের সঠিক সংজ্ঞা আগে নির্ধারণ করেই ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ করতে হবে।  তাহলে প্রকৃত সুফলভোগীরা চাল পাবেন। ’

পোশাক শ্রমিকদের ১০ টাকা দরে চাল দেওয়ার দাবি তুলে ধরে তিনি বলেন, পোশাক শ্রমিকদের ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।  বর্তমানে খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।  ফলে পোশাক শ্রমিকরা অতিরিক্ত বাড়ি ভাড়া ও জ্বালানি খরচা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন।  এসব ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেয়া হলে এসব শ্রমিকরা কিছুটা হলেও লাভবান হবেন।  তাছাড়া পোশাক শ্রমিকরা ১০ টাকা কেজি দরে চাল পাওয়ার জন্য যথেষ্ট উপযুক্ত।

সংবাদ সম্মেলন আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, সিপিডি'র গবেষণা পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।

অনুষ্ঠানে ‘স্টেট অব দ্য বাংলাদেশ ইকোনোমিক ইন ২০১৬-১৭’ এর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডি’র অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম খান।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৬
এমআইএস/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।