ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বিক্রির শুরুতেই ট্রেনের টিকিট কালোবাজারে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১১
বিক্রির শুরুতেই ট্রেনের টিকিট কালোবাজারে

ঢাকা: আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে রোববার থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। সকাল নয়টায় আনুষ্ঠানিকভাবে টিকিট বিক্রি শুরু হয়।



তবে টিকিট বিক্রি শুরু হতে না হতেই তা কালোবাজারে ছাড়ার অভিযোগ উঠেছে।

যাত্রীরা অনেকে অভিযোগ করে বলেন, তারা লাইনে দাঁড়িয়েও টিকেট পাচ্ছেন না। অনেক টিকিট কালোবাজারে চলে যওয়ার কারণেই এমনটা হচ্ছে বলে তারা জানান।

খুলনার টিকিট কাটতে আসা যাত্রী তারেক আহমেদ অভিযোগ করে বাংলানিউজকে জানান, তিনি লাইনের প্রথমে দাঁড়িয়েও এখন পর্যন্ত টিকিট পাননি। তার অভিযোগ রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্য কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন।

তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছে কমলাপুর কর্তৃপক্ষ। তাদের মতে, যাত্রীরা হয়তো তাদের পছন্দ মতো টিকেট পাচ্ছন না। কিন্তু লাইনে থাকা লোকদের অবশ্যই টিকিট দেওয়া হবে।

কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার সিতাংসু চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, ‘টিকেট বিক্রিতে কোনও অনিয়ম বা কালোবাজারি আমাদের চোখে পড়েনি। তবে বুথ ও জনবল কম থাকায় যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে টিকিট নিতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে আমাদেরও বেগ পেতে হচ্ছে অনেক বেশি। ’

এদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, ‘টিকিট বিক্রি শুরুর প্রথম দেড় ঘণ্টাতেই ৩ হাজার ২শ’ টিকেট শেষ হয়ে গেছে। দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ’

তিনি বলেন, ‘দেশের সড়ক ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় রেলের উপর চাপ বেড়েছে। কিন্তু রেলওয়ের পক্ষে এ চাপ সামলানো কোনওভাবেই সম্ভব নয়। প্রতিদিন ১৫ হাজার ৭৩৫ জন যাত্রী বহণের সামর্থ আছে আমাদের। অথচ আজকের দিনের চাহিদা ২ থেকে আড়াইগুণ বেশি হবে। ’


কমলাপুর রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার এনপি সাহা বাংলানিউজকে জানান, ১৩টি বিশেষ ও ৩টি চলমান বুথ থেকে টিকেট দেওয়া হচ্ছে।

তিনি জানান, একজন ৪টি টিকেটের বেশি নিতে পারবে না। আজ ২৬ তারিখের টিকিট বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিটের জন্য রাত থেকেই হাজার হাজার লোক কমলাপুর রেলস্টেশনে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। বিক্রি চলবে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত।

এ বিষয়ে জানাতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের উপ-পরিচালক (অপারেশন) মো. শাহজাহান বাংলানিউজকে জানান, রোববার সকাল নয়টা থেকে আমাদের ঈদ বিশেষ সেবা সার্ভিসের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রতিদিন ৫টা পর্যন্ত টিকিট বিক্রি হবে।

তিনি জানান, বিষয়টি তদারকির জন্য দু’টি বিশেষ তদরকি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। একটি দল পরিচালিত হবে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের রেলওয়ে বিভাগের নেতৃত্বে। সেটির প্রধান থাকছেন একজন যুগ্ম-সচিব। আরেকটি দলের প্রধান বাংলাদেশ রেল বিভাগের যুগ্ম-মহাপরিচালক।

মো. শাহজাহান আরও জানান, ঈদের সেবা পরিচালনা শুরু হবে ২৬ আগস্ট থেকে। চলবে ঈদের পরবর্তী সাত দিন পর্যন্ত।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রতিদিন নির্ধারিত ভাবে ২৭৮টি ট্রেন বিভিন্ন রুটে চলাচল করে। ঈদের জন্য আরও ১৪টি নতুন ট্রেন সংযোজন হবে। আর বিশেষ কিছু ট্রেনে ১০৭টি বগিও যোগ করা হবে।

এদিকে যাত্রীরা যাতে স্বাভাবিক ভাবে টিকিট পায় তার জন্য রেলওয়েকে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও রেলওয়ে পুলিশের ৪টি দল সাহায্য করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।